Omicron

Omicron: ওমিক্রনের হদিস জেলায়

বৃহস্পতিবার রাতে ওই চিকিৎসকের ওমিক্রন জাতীয় করোনা হয়েছেন বলে জানা যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩১
Share:

নেই হুঁশ, নেই মাস্ক। নিজস্ব চিত্র

জেলায় এই প্রথম করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গেল। ওমিক্রন-আক্রান্ত যুবকের বাড়ি কৃষ্ণনগর শহরে। তিনি কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবীশ চিকিৎসক বা ‘ইন্টার্ন’।

Advertisement

দিন কয়েক আগে তাঁর শরীর খারাপ হওয়ায় করোনা পরীক্ষা হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি ‘ওমিক্রন’ প্রজাতির করোনায় আক্রান্ত কিনা জানতে তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসার আগেই কোয়রান্টিনে না-থেকে তিনি গত বুধবার কৃষ্ণনগরের বাড়িতে চলে আসেন৷ তার পর স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়ে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে৷

বৃহস্পতিবার রাতে ওই চিকিৎসকের ওমিক্রন জাতীয় করোনা হয়েছেন বলে জানা যায়। তার কিছু আগেই তাঁর মায়ের করোনা-আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাত এগারোটা নাগাদ ওই চিকিৎসককে অ্যাম্বুল্যান্সে বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। শনিবার দুপুরে তাঁর মাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের কোভিড বিভাগে। তাঁর নমুনাও জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়িতে তাঁর বাবা, মা ও বোন থাকেন। বাবা ও বোন আপাতত বাড়িতেই নিভৃতবাসে আছেন। যদিও তাঁদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁদের বাড়ির পরিচারিকার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল ঘোষ বলছেন, “ওই চিকিৎসক ও তার পরিবারের সংস্পর্শে কারা-কারা এসেছেন খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিকে, কল্যাণীর জহর নবদয় বিদ্যালয়ের করোনা-আক্রান্ত ৩৮ জন পড়ুয়া নিভৃতাবাসে থাকার পরিবর্তে বাড়ি চলে যাওয়াও প্রশ্ন উঠেছে। তাদের ওমিক্রন পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। বাড়ি যাওয়ার পথে তারা অনেকের সংস্পর্শে আসতে পারে। বাড়িতে সে ভাবে নিভৃতাবাসে না-ও থাকত পারে। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যাপক আশঙ্কা থাকছে।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, তারা স্কুলকে জানিয়েছিল যে, জেএনএম বা এনএসএস কোভিড হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে। আক্রান্ত পড়ুয়ারা সেখানে আইসোলেশনে থাকতে পারে। কিন্তু জোর করে তো আর কাউকে রাখা যায় না! জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন দাসের কথায়, “আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম যতক্ষণ পর্যন্ত না ওমিক্রন পরীক্ষার রিপোর্ট আসে তত ক্ষণ যেন আক্রান্ত পড়ুয়াদের রেখে দেওয়া হয়।”

আবার স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, ‘‘আমরা অভিভাবকদের বলেছিলাম যে, পড়ুয়াদের সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা যেতে পারে। কিন্তু তাঁরা বন্ড দিয়ে নিজের-নিজের সন্তানকে গাড়িতে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন