যাওয়ার আগে বাসে তুলে দিলাম

আর পাঁচ জনের মতো ছাত্রাবস্থা থেকেই মোটরবাইকের খুব শখ ছিল অরূপের। প্রায় আড়াই বছর চাকরির পর মাস দেড়েক আগে ছুটিতে এসে শখের নতুন বাইকটা কিনেছিল।

Advertisement

অনুপ সাহা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৯
Share:

আর পাঁচ জনের মতো ছাত্রাবস্থা থেকেই মোটরবাইকের খুব শখ ছিল অরূপের। প্রায় আড়াই বছর চাকরির পর মাস দেড়েক আগে ছুটিতে এসে শখের নতুন বাইকটা কিনেছিল। পরের বার এসে দোতলায় নতুন ঘরটাও তুলে ফেলবে, বারবার বলত। ওর দাদা অনিমেষ তেমন কোনও কাজ পায়নি। বাবা অসুস্থ, পরিবারটাকে ওই টানত।

Advertisement

দাদার বিয়ে দেওয়ার পর বলত, ‘এ বার বিয়েটা সেরে ফেলি কী বল!’ কিন্তু, সব এলোমেলো হয়ে গেল। ক্লাস ওয়ান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক— আমরা এক সঙ্গে এক স্কুলে পড়েছি। খেলার মাঠেও এক দলেই খেলেছি। আড্ডা, বাড়ি ফেরাটাও ছিল এক সঙ্গে। কোনও দিন ওর সাইকেলের কেরিয়ারে আমি, কখনও বা উল্টোটা।

আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ২০১১ সালের মার্চে মিলিটারিতে যোগ দিলাম। ২০১৪ সালের অক্টোবরে খবর পেলাম ও সিআরপিএফে যোগ দিয়েছে। চাকরি সূত্রে অরূপ ছত্রিশগড়ে আর আমি কাশ্মীরে থাকলেও ফেসবুক আর ফোনে যোগাযোগ ছিল নাগাড়ে।

Advertisement

ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটি থেকে কাজে ফেরার দিন আমিই ওকে বাসস্ট্যান্ডে তুলে দিতে গিয়েছিলাম। আর এ দিন ওর দেহটা নামাতে হল আমাকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন