বৃদ্ধা খুনে নতুন মুখ, উঠল প্রশ্ন

চব্বিশ ঘণ্টা আগেই বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় নমিতা সাহার দাদা অমলেন্দুবাবু বলেছিলেন, আর এক দিন দেখবেন। অপরাধীরা ধরা না পড়লে আদালতে যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০১:০৯
Share:

চব্বিশ ঘণ্টা আগেই বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় নমিতা সাহার দাদা অমলেন্দুবাবু বলেছিলেন, আর এক দিন দেখবেন। অপরাধীরা ধরা না পড়লে আদালতে যাবেন।

Advertisement

তদন্তের মোড় ঘুরে গেল এক দিনেই। নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত অর্ণব চক্রবর্তী। শুক্রবার দুপুরে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে নবদ্বীপ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বছর চব্বিশের ওই যুবক।

যদিও তাতে প্রশ্ন উঠছে, খুনের ঘটনার দশ দিন পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারল না, অপরাধী নিজেই ধরা দিয়ে দিল? নাকি এর পিছনে অন্য কাহিনি রয়েছে?

Advertisement

অর্ণবের বাড়ি নমিতা সাহার পাড়াতেই। ২২ ফেব্রুয়ারি অমলেন্দুবাবু পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেন, তাতে একমাত্র অর্ণবের নামই ছিল। কিন্তু অর্ণবের নাম জড়ানোয় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। সম্প্রতি রেলে খাবার সরবরাহকারী এক ঠিকাদার সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার আগে বাবার ফলের দোকানে বসতেন। অর্ণবের বাবা অতুল চক্রবর্তী জানান, ঘটনার দিন ছেলে রাত ন’টার সময় কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরে। আগের রাতে নাইট ডিউটি ছিল। রাতে সাড়ে দশটার মধ্যে খাওয়া সেরে তাঁরা শুয়ে পড়েন। সকালে উঠে সারাদিন ফলের দোকান করে ফের সন্ধ্যার ট্রেনে কলকাতায় ডিউটিতে চলে যায়। এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অতুলবাবু। বলেন, “গরিব হলেও আমার ছেলে খুনি নয়।” পড়শিদের সাফ কথা, অন্য কাউকে আড়াল করতেই অর্ণবকে ফাঁসানো হচ্ছে। অর্ণবের আইনজীবী শুভ্রশুচি মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা নিরীহ পরিবারের উপর যে পুলিশি চাপ আসছিল, অর্ণবের বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। সে জন্যই আত্মসমর্পণ। আইনই মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দেবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement