নদিয়া দক্ষিণে বিজেপিতে ভাঙন চলছেই। ফের শান্তিপুর ব্লকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
মৌমিতা দাস নামে ওই সদস্য বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হন। বুধবার শান্তিপুরে তৃণমূলের দফতরে গিয়ে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
এর আগেও বাবলা এলাকার এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মৌমিতার দাবি, “বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যাচ্ছিল না। কাজ করার জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলাম।”
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, “নানা ভাবে হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে আমাদের সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।” শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, “হুমকির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখে সবাই তৃণমূলের দিকে আসছেন। শান্তিপুরও তাঁর ব্যতিক্রম নয়।”
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে তৃণমূল এবং পাঁচটিতে বিজেপি জয়ী হয়েছে। কয়েক মাস আগে বাবলা এলাকা থেকে নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এর পরে ফের এ দিনের দলবদলের জেরে পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের আসন হল ২৬, বিজেপির ৩।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকায় আগেই শাসক দলের একাংশের সঙ্গে বিজেপির কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠতা সামনে এসেছিল। বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে তৃণমূল এবং তিনটিতে বিজেপি জয়ী হয়। কিন্তু প্রধান এবং উপপ্রধান পদ নিয়ে শাসক দলের মধ্যে বিবাদ বাধে। যার জেরে বোর্ড গঠনের সময়ে তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। সেই সময়ে বিজেপির তিন সদস্য তৃণমূলের একটি শিবিরের প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন। ফলে সেই সময় থেকেই বিজেপির একটি অংশের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।