তল্লাশি চলছে। নিজস্ব চিত্র
কড়া পুলিশি পাহারা, রীতিমতো তল্লাশি করে সভায় প্রবেশানুমতি গন্ডগোল রুখতে ফাঁক ছিল না কিছুরই, তবু শেষতক হাতাহাতি এড়ানো গেল না। শমসেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের চুলোচুলিটা হল সভার অন্দরে। বাইরে পুলিশের আঁটোসাঁটো কর্ডন থাকলে কি হবে, ফস্কা গেরো যে সভা কক্ষেই! তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোট গ্রহণ হবে গোপনে, না হাত তুলে— বিবাদটা বেধেছিল তা নিয়েই। আর সেই বচসা গড়িয়ে ছিল প্রায় হাতাহাতিতে।
২৭ সদস্যের পঞ্চায়েত সমিতিতে সকলেই তৃণমূলের। ১৫ জনই মহিলা। বচসা হাতাহাতিতে গড়ালেই টান পড়েছিল চুলে। এক সদস্যের কথায়, ‘‘দু’জন মহিলা সদস্য তাদের বিপক্ষ গোষ্ঠীর এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাতে শুরু করতেই সে পক্ষের অন্য মহিলারা রে রে করে তেড়ে আসেন।’’তৃণমূলের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ সদস্যের পঞ্চায়েত সমিতিতে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিধায়ক আমিরুল ইসলামের অনুগামী ছিলেন ১৪ জন। বাকি ১৩ জন ছিলেন বিরুদ্ধ গোষ্ঠী আনারুল হকের দিকে। দুই পক্ষের ১৪-১৩ থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই থেকে গোলমালের আশঙ্কা ছিল পুলিশের। তাই আশপাশের তিন থানা থেকে পুলিশ এসেছিল অঢেল। ছিলেন জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও।
বেলার দিকে, বোর্ড গঠনের সভায় ঢোকেন বিধায়ক পত্নী তাদের অনুগত ১৪ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে নিয়ে। সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ঘন্টা তিনেক পরে যখন বেরিয়ে এলেন তখন তাঁর সঙ্গে ২০ জন। হিসেব দাঁড়াল ২০–৭। অর্থাৎ শমসেরগঞ্জে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের দখল নিলেন শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের স্ত্রী আনুয়ারা বেগম। ১৩ জন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠনের সভায় ঢুকে আনারুল শেখের অনুগামীদের আশা ছিল বিধায়কপন্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেবেন তারা। কিন্তু কার্যত তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি তাঁরা।