পিএইচই-র কাজ করবে পঞ্চায়েত

জারি হয়েছে নির্দেশিকা, তবে তা কার্যকর করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ মন্ত্রীই। গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের দেখভালের দায় তাই ঘাড়ে চাপলেও আপাতত চোখ বুজেই রয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। এত দিন গ্রামীণ এলাকার নলবাহিত জলসরবরাহ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কিংবা রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৯
Share:

জারি হয়েছে নির্দেশিকা, তবে তা কার্যকর করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ মন্ত্রীই। গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের দেখভালের দায় তাই ঘাড়ে চাপলেও আপাতত চোখ বুজেই রয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

Advertisement

এত দিন গ্রামীণ এলাকার নলবাহিত জলসরবরাহ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কিংবা রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই)। গ্রামে পরিশ্রুত জল সরবরাহ থেকে গভীর নলকূপ মেরামত— সব কাজই করতেন ওই বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা। নব্য কোনও প্রকল্প রূপায়ণও হত ওই বিভাগের তত্ত্বাবধানে। খরচ জোগাত পিএইচই। এ বার সেই খরচের প্রশ্নটুরু উহ্য রেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে পঞ্চায়েত দফতর। দিন কয়েক আগে, সরকারি নির্দেশ অন্তত সে কথাই বলছে। জেলা পঞ্চায়েত অফিসার এবং পিএইচই-র কর্তাদের কাছে সে নির্দেশের কপি পৌঁছেও গিয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সৌরভ দাস জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ওই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। ১৮ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সৌরভ দাস জেলায় ওই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। তবে, প্রকল্প রূপায়ণ কিংবা কারিগরি সহায়তের জন্য তাদের যে এখনও পিএইচই-র মুখাপেক্ষিই থাকতে হবে, স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তা-ও। তবে, পঞ্চায়ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কোনও রাখঢাক না রেখেই বলছেন, ‘‘বিষয়টা খুব স্পষ্ট করে আমার জানা নেই। কী করে পঞ্চায়েত দফতর তা সামাল দেবে বুঝতেই পারছি না।’’

Advertisement

রীতিমতো অপ্রস্তুত শোনায় মন্ত্রীর গলা— ‘‘পঞ্চায়েতগুলি নলকুপ রক্ষণাবেক্ষণ বা দেখভাল না হয় করল কিন্তু, নলবাহিত প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ বা দেখভাল করার মতো পরিকাঠামো পঞ্চায়েতগুলির কোথায়?’’ তবে, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ওই নির্দেশ আপাতত বদলের কোনও সম্বাবনা নেই।

এখন প্রশ্ন, এ ব্যাপারে কী ধরনের কাজ করবে পঞ্চায়েতগুলি? নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নলকুপ স্থাপন, নলকুপ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, নলকুপের চাতাল তৈরি আর মেরামত— আপাতত তাদের কাজের বরাদ্দ এইটুকুই।

এ জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সহায়তা করবে। যে সব এলাকায় রিগ বোর প্রযুক্তির মাধ্যম ছাড়া নলকুপ বসানোর কাজ করা যায় না, সেই সব এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহায়তায় বা এজেন্সি নিয়োগ করে পঞ্চায়ত কাজ করবে। তা ছাড়াও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে এই প্রকল্পের বরাত দিলে তা করে দেবে ওই দফতর।

তবে, এই কাজের দেখভালের দায় এখন থেকে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলির। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতই কাজের বাল-মন্দ বিচার হবে। কোন নলকূপ মেরামত করা দরকার তাদের সামগ্রিক অবস্থা, এবং অবশ্যই রক্ষণাবেক্ষণ করবে পঞ্চায়েত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন