নজরদারির অ্যান্ড্রয়েড পঞ্চায়েতে

আজ বুধবার লালবাগ, ডোমকল ও কান্দি মকুমার বাকি ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে একই ভাবে মোবাইল দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

এ বারে পঞ্চায়েতের কাজের তদারকি ও নজরদারিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। তার জন্য জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সিস্টেম (জিআইএস) ভিত্তিক মোবাইল ফোন দিচ্ছে তারা।

Advertisement

কয়েক বছর আগে কয়েক দফায় রাজ্যের ন’টি জেলায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এ প্রকল্পে একটি করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দেওয়া হয়। এ বারে মুর্শিদাবাদ-সহ বাকি জেলাগুলিকেও এ ধরনের মোবাইল ফোন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য স্বশক্তিকরণ প্রকল্পের অধিকর্তা তথা রাজ্যের বিশেষ সচিব সৌম পুরকাইত।

মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে বহরমপুর ও জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকার ১২২টি পঞ্চায়েতের প্রধানের হাতে মোবাইল সেট তুলে দেওয়া হয়। কী ভাবে সেগুলি কাজে লাগাতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলাশাসক পি উলগানাথন, মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) এনাউর রহমান, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শাহনাজ বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আজ বুধবার লালবাগ, ডোমকল ও কান্দি মকুমার বাকি ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে একই ভাবে মোবাইল দেওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, “কাজের তদারকি ও পরিকল্পনা রূপায়ণে মোবাইল দেওয়া হবে।” তাঁর দাবি, এই মোবাইলের সাহায্যে অনলাইনে ছবি ও তথ্য আপলোড করা হবে। তার জন্য পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে রাজ্যের ন’টি জেলার এক হাজার পঞ্চায়েতে স্বশক্তিকরণ প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলাগুলি হল কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও হাওড়া। এই প্রকল্পে আগেই ওই ন’টি জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে মোবাইল দেওয়া হয়। গত বছর দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জেলাগুলিতে স্বশক্তিকরণ প্রকল্প শুরু হয়। এ বার প্রকল্পের আওতায় আসে আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি ও পুরুলিয়া। গত ২৬ অক্টোবর রাজ্যের বিশেষ সচিব সৌম পুরকাইত মোবাইল দেওয়ার নির্দেশ দেন।

কী হবে মোবাইলের মাধ্যমে? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বৈঠক বা গ্রামসভা, বিভিন্ন প্রকল্পের ছবি মোবাইলের মাধ্যমে আপলোড করে ওয়েবসাইটে পাঠানো হবে। সরকারি আধিকারিকেরা এই সব তথ্য ওয়েবসাইটে দেখে কাজের তদারকি করতে পারবেন, তেমনই জনগণও তাঁদের এলাকায় কী কী কাজ হয়েছে বা হচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রকল্পগুলি কী অবস্থায় আছে, সে সব সহজেই দেখতে পাবে।

এর আগের দফাতেই পড়শি জেলা নদিয়ার সব গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের তদারকির জন্য মোবাইল দেওয়া হয়েছিল। নদিয়ার অন্য সব গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি করিমপুর ১ পঞ্চায়েতকেও বছর দেড়েক আগে স্বশক্তিকরণ প্রকল্পে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়। এতে কি সুবিধা হচ্ছে? গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারক সেনের দাবি, “ কোথায় কোন প্রকল্প হবে, বর্তমান অবস্থা কেমন, প্রকল্প শেষে কেমন হবে সবই মোবাইলের সাহায্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের স্বচ্ছতা আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement