Krishnanagar Murder Case

পুলিশ কী করে দেখতে চান ঈশিতার বাবা-মা

২৫ অগস্ট দুপুরে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঈশিতার মাথায় তিনটি গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরে দেশরাজ পালিয়ে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় দেশের বাড়িতে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ০৭:০১
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্য পুলিশের তদন্তে এখনও তাঁদের ভরসা আছে বলে জানালেন কৃষ্ণনগরে নিহত তরুণী ঈশিতা মল্লিকের বাবা-মা। খুনে অভিযুক্ত দেশরাজের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথা জানা ছিল না বলেও শনিবার তাঁরা ফের দাবি করেন।

২৫ অগস্ট দুপুরে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঈশিতার মাথায় তিনটি গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরে দেশরাজ পালিয়ে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় দেশের বাড়িতে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। কিন্তু কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার ১৫ জনের চারটি দল গত কয়েক দিন তল্লাশি চালিয়েও তাকে ধরতে পারেনি।

বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ দিন ঈশিতার বাবা দুলাল মল্লিক বলেন, “পুলিশ আমাদের ভরসা দিচ্ছে যে অপরাধী ধরা পড়বেই। আরও কয়েক দিন দেখব, তার পরে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেব।” কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, “দেশরাজের পরিবারের অনেকেই যে তাকে আত্মগোপন করে থাকতে সাহায্য করছে, তা স্পষ্ট। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”

তবে তদন্তকারীদের ধারণা, দেশরাজ বা তার ‘সহযোগী’ খুড়তুতো ভাই নিতিনের নাগাল পাওয়া সহজ নয়। দেশরাজের দুই আত্মীয় দঙ্গল সিংহ ও মঙ্গল সিংহের বিরুদ্ধে খুন-সহ প্রায় ৪০টি অভিযোগ রয়েছে। কয়েক দিন আগেই তারা জেল থেকে বেরিয়েছে। দেশরাজ তাদের আশ্রয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। নিতিনের পরিবার বৃহস্পতিবার তাকে আত্মসমর্পণ করাতে রাজি হলেও, দঙ্গল-মঙ্গলের এক শ্যালক পঙ্কজ সিংহ হুমকি দেওয়ায় তারা আর সাহস পায়নি বলে দাবি।

দেশরাজের দাদু (মায়ের বাবা) সরযূপ্রসাদ সিংহ ওই এলাকার দাপুটে ‘মুখিয়া’। তদন্তকারীদের ধারণা, তাঁর ভয়েও এলাকার লোক মুখ খুলতে চাইছে না। যতটুকু খবর মিলেছে, তাতে দেশরাজ দেওরিয়ার আশপাশেই রয়েছে। তবে দেশরাজ নেপালে পালাতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যথেষ্ট সাহায্য না পেলে অপরাধীকে ধরা সহজ নয় বলে দাবি। তবে এ দিন দেওরিয়া জেলা পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক মহেন্দ্র কুমার বলেন, “নদিয়ার পুলিশ যখন যেমন চাইছে, সাহায্য করছি।” বিভিন্ন সূত্রে পুলিশ জেনেছে, ঈশিতা সম্পর্ক ভাঙতে চাওয়ায় দেশরাজের মাথায় ‘রক্ত চড়ে গিয়েছিল’। এ দিন ঈশিতার মা কুসুমের দাবি, “দেশরাজকে দু’-এক বার দেখেছি। এর বেশি জানা ছিল না।” বাবা বলেন, “মেয়ে চাপা স্বভাবের ছিল। কিছু আন্দাজ করতে পারলে কি এই পরিস্থিতি হতে দিতাম!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন