রাস্তা কেটেছে রক্ষীরা, বিচ্ছিন্ন 

রাস্তা কাটার ফলে ঢালাই রাস্তা আর বর্ডার রোডের মধ্যে লম্বা এবং কিছুটা গভীর ফাঁক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ১০:১৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

রাস্তা একটাই। বর্ডার রোড। গ্রামের ভিতর দিয়ে একাধিক ঢালাই রাস্তা এসে মিশেছে সেই রোডে। বুধবার সকালে হাঁসখালি ব্লকের অন্যতম সীমান্ত গ্রাম হাজরাখালায় সেই রাস্তা কেটে গোটা গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।

Advertisement

রাস্তা কাটার ফলে ঢালাই রাস্তা আর বর্ডার রোডের মধ্যে লম্বা এবং কিছুটা গভীর ফাঁক তৈরি হয়েছে। সেখান গিয়ে কোনওরকমে হেঁটে যাতায়াত করতে পারলেও যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিডিওর কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও বিএসএফের কর্তাদের কাছ থেকে এই বিষয়ে তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

তবে সরাসরি না বললেও বিএসএফ সূ্ত্রের দাবি, কাঁটাতার পার হয়ে যাতে সহজে কোনও দুষ্কৃতী বা পাচারাকারী সহজে গ্রামের ভিতরে ঢুকে আত্মগোপন করতে না-পারে বা পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্যই কোনও কোনও জায়গায় রাস্তা এমন কাটা হয়েছে। কিন্তু বিএসএফের কৃষ্ণনগর হেড কোয়াটারের ডিআইজি বিএল মিনার দাবি, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” বেশ কয়েক বছর আগে কাঁটাতারের ও পার থেকে প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার এ দিকে এসে বসবাস শুরু করে। গ্রামটি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা। গোটা তিনেক রাস্তা গ্রামের ভিতর থেকে এসে মিশেছে বর্ডার রোডে। স্থানীয় রামনগর-বড়চুপরিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে রাস্তাগুলি ঢালাই করা হয়েছিল। এই বর্ডার রোডই বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে গ্রামবাসীদের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। সেই রাস্তা কেটে দেওয়ায় তাঁরা অন্য কোনও ভাবে যানবাহনে যাতায়াত করতে পারছে না।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্থানীয় বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিপিনচন্দ্র সাধু খাঁ বলছেন, “গ্রামবাসীরা প্রবল সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। আমরা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে কথা বলেছি। ওঁরা কোন সদুত্বর দিতে পারেননি।” তিনি বলেন, “বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করছি প্রশাসনের তরফে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন হাঁসখালির বিডিও উৎপল পাতসা। তিনি কথা বলেছেন গ্রামবাসী ও বিএসএফের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি যে, নিরাপত্তার কারণে এটা করা হয়েছে। জমিটা আসলে ওদের।” তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা ভেবে আমরা বিএসএফের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। জেলা প্রশাসনকেও জানানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন