biodata

বায়োডেটার পাহাড় জমে পার্টি অফিসে

বহরমপুর শহরের ২৮’টি ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডাটা-সহ শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে শহর তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সৌমিমা চট্টরাজ, শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস,নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়।

পুর-ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার ঢল নেমেছে বহরমপুরে।

Advertisement

দলের অন্দরের খবর, শাসকদলের প্রার্থী হওয়ার জন্য শহরের আনাচকানাচ থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ রীতিমতো পকেটে ‘বায়োডাটা’ নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সেই তালিকায়, স্কুল শিক্ষিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, পাড়ার চায়ের দোকানি থেকে নিতান্তই আটপৌর সংসার সামাল দেওয়া মহিলা— রয়েছেন সকলেই।

ইতিমধ্যে বহরমপুর শহরের ২৮’টি ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডাটা-সহ শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে শহর তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। যাঁদের বড় অংশ মহিলা এবং সদ্য-তরুণ। বহরমপুর শহর তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘আবেদনকারীদের মধ্যে দলের সর্বক্ষণের কর্মী যেমন রয়েছেন, তেমনই সাধারণ মানুষও রয়েছেন।’’

Advertisement

‘‘মানুষকে পুর-পরিষেবা দিতে নির্বাচনে লড়াই করতে চাইছি। এ জন্য শহর তৃণমূলের সভাপতির কাছে বায়োডেটা জমা দিয়েছি। সুযোগ পেলে লড়াই করতে চাই।’’
সৌমিমা চট্টরাজ
গবেষক, গোরাবাজার

বহরমপুর শহর তৃণমূলে সভাপতি নাডুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষিত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেন, এমন লোকজনই আমাদের প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থী হতে চেয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৪-৫টি করে আবেদন এসেছে। ওই আবেদনকারীদের বায়োডেটা জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ বহরমপুরের প্রাথমিক শিক্ষিকা অনিন্দিতা দাস শহরের ১৪ নম্বরের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘সরকার পুর এলাকার পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নে নানা রকম প্রকল্প নিয়েছে। মানুষের পাশে থাকতে, পরিষেবা দিতে ভোটে লড়াইয়ের জন্য আবেদন করেছি।’’

‘‘রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। আমিও পুরভোটে দাঁড়িয়ে সেই উন্নয়নে শরিক হতে চাই। সে জন্য তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।’’
শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস
শিক্ষিকা, সুভাষ কলোনি

শুক্রবার শহরের এক ডেকোরেটর কর্মী শহর তৃণমূলের সভাপতির কাছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। এদিন দমকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রার্থী হতে চেয়ে তৃণমূলের কাছে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন।

‘‘শহরের শতাধিক মানুষ প্রার্থী হতে চেয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। তার মধ্যে সদ্য-তরুণদের সংখ্যা বেশি, রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা।’’
নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়
শহর তৃণমূলের সভাপতি

বহরমপুর বরাবরই কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। গত পুরসভা নির্বাচনে শহরের ২৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস এবং ২ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ২৮টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে এমন হিড়িক দেকে অবাকই হয়েছেন দলের নেতারা। তাঁদেরই এক জন বলছেন, ‘‘পুর-নির্বাচনের আগে অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেন। তবে এমন উচ্ছ্বাস-আগ্রহ আগে দেখিনি।’’ জেলা তৃণমূলের এক যুব নেতা বলেন, ‘‘লোকসভা ও পুরসভা নির্বাচন এক নয়। পুরসভা নির্বাচন স্থানীয় স্তরের। সেখানে ক্ষমতায় যারা থাকে সেই দলে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জমা পড়ে। কংগ্রেসের আমলেও এমনটাই ছিল। এটাই বহরমপুরের রেওয়াজ। তবে এ বার যেন আগ্রহটা বেশি।’’

এই আগ্রহের মধ্যে এনআরসি, সিএএ বিরোধিতার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা-ও ভাবাচ্ছে নেতাদের। তৃণমূল যে সারা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন