ছৌ-বাজনায় ঝলমলে সীমান্ত সম্প্রীতি ফাইনাল

বিকেল থেকেই অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল ঘিরে উন্মাদনা ছিল চরমে। সন্ধ্যা নামতেই মাঠ ঘিরে জ্বলে উঠল হ্যালোজেন আলো। আকাশে উড়ল বেলুন। মাঠের চারপাশে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘন হয়ে উঠল শীতসন্ধ্যার ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
Share:

নিজস্ব চিত্র

ঝলমলে আলো, পুরুলিয়ার ছৌ, ঝকঝকে সবুজ মাঠ। তার চারপাশে থিকথিকে ভিড়।

Advertisement

সব মিলিয়ে সীমান্তের থানা রানিনগর ফুটবলময় ছিল সোমবার। সীমান্ত সম্প্রীতি কাপের ফাইনাল নিয়ে গোটা রানিনগর জুড়ে সাজো- সাজো রব।

বিকেল থেকেই অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল ঘিরে উন্মাদনা ছিল চরমে। সন্ধ্যা নামতেই মাঠ ঘিরে জ্বলে উঠল হ্যালোজেন আলো। আকাশে উড়ল বেলুন। মাঠের চারপাশে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘন হয়ে উঠল শীতসন্ধ্যার ভিড়।

Advertisement

শুধু আমজনতাই নয়। ফাইনালের আকর্ষণ কাটাতে পারেননি কর্তারাও। খেলা দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) অংশুমান সাহার মতো অনেকেই। খেলা চুটিয়ে উপভোগ করেছেন তাঁরাও।

দিন দশেক আগে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকায় শুরু হয়েছিল সীমান্ত সম্প্রীতি কাপ। এর পর সময় যত গড়িয়েছে, তত চড়েছে উন্মাদনার পারদ। সেই সঙ্গে, নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান থাকায় চরের গ্রাম থেকেও অনেকে খেলা দেখতে হাজির হয়েছে মাঠে।

দিন দশেক আগে রানিনগর থানার মাঠে শুরু হয়েছিল সীমান্ত সম্প্রীতি কাপ। এর পর সময় যত গড়িয়েছে, ফুটবল নিয়ে মেতে উঠেছে রানিনগর। ডোমকল মহকুমার ৮টি দল নিয়ে শুরু হওয়া এই খেলার এ দিনই ছিল সমাপ্তি। তা ছাড়াও এ দিন মহকুমার চার থানার অনূর্ধ্ব ১৭ দলের ফাইনালও ছিল। ফলে দুপুর থেকে রানিনগর থানা চত্বরেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

রানিনগর থানার ওসি অরূপ রায় বলেন, ‘‘সীমান্তে অনেক প্রতিকূলতা আছে। তার পরেও ফুটবল নিয়ে এমন উন্মাদনা যে রয়েছে, সেটা এই খেলার আয়োজন না করলে বুঝতে পারতাম না। অনূর্ধ্ব ১৭ খেলোয়াড়দের নিয়ে ম্যাচ করানোর উদ্দেশ্যই হল নতুন প্রজন্ম ফুটবলমুখী করা।’’

রাতে ভিড়ে ঠাসা মাঠ। গোল হলেই আইএসএলের ধাঁচে ঝমাঝম মিউজিক। রানিনগরের বাসিন্দা জাহির আব্বাসের কথায়, ‘‘ফুটবল আগেও হয়েছে রানিনগরে। তবে রাতের ফুটবল আমাদের এলাকায় তেমন ভাবে হয়নি। ফলে এই খেলা নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা ছিল। তার পরে বিনোদন অন্য মাত্রা যোগ করেছে।’’

এ দিন ইসলামপুর মর্নিং ক্লাব এবং নবিপুর আর এন ক্লাবের খেলা নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। পরে টাইব্রেকারে ইসলামপুর মর্নিং ক্লাব ৩-২ গোলে জিতে যায়।

জেতা-হারা তো প্রতিযোগিতায় থাকেই। যে-ই জিতুক বা হারুক, খুব শিগগির ফুটবল আবার স্বমহিমায় ফিরুক, রানিনগর চাইছে এটুকুই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন