—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। স্ত্রীকে বিচ্ছেদ না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেলেছেন তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘দ্বিতীয় পক্ষের’ স্ত্রী। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল এলাকায়। কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। যদিও শান্তিপুরের ওই তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
‘দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী’-র অভিযোগ, বাড়ির সবাইকে লুকিয়ে তাঁকে বিয়ে করেছেন স্বামী। তিনি জানতেন না যে স্বামীর আগেও একটি বিয়ে রয়েছে এবং দুই সন্তান আছে। এমনকি, ‘ধরা পড়ে গিয়ে’ তাঁর প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছেন স্বামী। ওই মহিলা বলেন, ‘‘বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা হয়েও লুকিয়ে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন আমাকে। বিয়ের পর থেকে আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। আমার মুখে এক বার অ্যাসিড ছুড়ে মারার হুমকি দিয়েছিলেন স্বামী।’’ এখানেই শেষ নয়, মহিলার দাবি, তৃণমূল নেতা স্বামী তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘চলন্ত ট্রাকের নীচে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন উনি।’’
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে মহিলা জানান, ২০২৩ সালের ২৩ মে নিজের প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে তাঁকে বিয়ে করেছেন তৃণমূল নেতা। পরে সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ায় ক্রমশ তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। শুরু হয় অশান্তি। এর পর থেকে নানা ভাবে অভিযুক্ত এবং তাঁর পরিবারের তরফে হুমকি আসতে শুরু করে। তাঁর উপরে অ্যাসিড হামলার হুমকিও দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নেতার দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার চরিত্র কালিমালিপ্ত করতে পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক কুৎসা করা হচ্ছে। আইনি পথে এর জবাব দেব।’’ দলের নেতাকে নিয়ে মহিলার অভিযোগ প্রসঙ্গে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, ‘‘উনি (অভিযুক্ত) দলের কর্মী ঠিকই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’’
অন্য দিকে, শান্তিপুরের বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে শোরগোল এলাকায়।