পুলিশকে ধমক দিলেন চেয়ারপার্সন

পুলিশের মুখ পড়ল। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়ল ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। আবার এ দিনই জেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। এই অভিযোগ তুলে এসইউসিআই-এর মহিলা শাখার সদস্যেরা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ক্ষোভ দেখান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:১৮
Share:

পায়েলের মা-দিদির সঙ্গে সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র

পুলিশের মুখ পড়ল। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়ল ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। আবার এ দিনই জেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। এই অভিযোগ তুলে এসইউসিআই-এর মহিলা শাখার সদস্যেরা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ক্ষোভ দেখান।

Advertisement

দিন দশেক আগে ধুবুলিয়ার রাজপুরে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। ওই ঘটনায় পুলিশ রাজকুমার রায়কে গ্রেফতার করে। কিন্তু আরও তিন অভিযুক্ত এখনও নাগালের বাইরে। এ দিন সুনন্দাদেবী মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। বাড়ির লোকজন সুনন্দাদেবীকে কাছে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তোলেন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই অন্য অভিযুক্তেরা ধরা পড়ছে না। সুনন্দাদেবী এরপর পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “পুলিশ এখানে আমাদের আনার সময় পথ ভুল করেছিল। এতেই বোঝা যায় তাঁরা এই গ্রামে আসে না।” মৃতার পরিবারের লোকজন সুনন্দাদেবী নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেন, ‘‘সমস্যা হলেই ফোন করবেন।’’ মহিলা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে এ দিন তদন্তকারী আধিকারিক ও ধুবুলিয়া থানার ওসি ছিলেন না। এতেও বেজায় চটে যান কমিশনের সদস্যেরা।

রাজাপুর থেকে ধুবুলিয়ায় পায়েল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা ও দিদির কাছে পুরো ঘটনা শোনেন সুনন্দাদেবী। প়ঞ্চমীর দিন ধুবুলিয়ার মেয়ে পায়েলের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে। পায়েলদের বাড়িতে ধুবুলিয়া থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে কাছে পেতেই সুনন্দাদেবী তাঁর কাছে জানতে চান, রাজাপুরের কিশোরীর খুনের মামলায় সংগৃহীত নমুনার ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়েছে কিনা? ওসি জানান, পুজোর ছুটির কারনে ‘ফরেন্সিক সায়েন্স অ্যাণ্ড ল্যাবরেটরি’ বন্ধ রয়েছে। ছুটির পরেই নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে। এর পরে সুনন্দাদেবী ওসিকে ধমকে বলেন, ‘‘এতদিন ধরে ফরেন্সিক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে, আপনি বললেই আমরা মেনে নেবো।’’

Advertisement

এ ভাবে দিনভর ধমক খেয়েই সময় কাটল পুলিশের। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঁঝারিয়া অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন