—প্রতীকী চিত্র।
রাতের অন্ধকারে নিজের বাড়িতে খুন হলেন ৫৬ বছরের মহিলা। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্য নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, লুটপাট করতে এসে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, পুজোয় জিনিসপত্র কেনার জন্য গত বুধবার ব্যাঙ্ক থেকে কিছু টাকা তুলে এনেছিলেন মহিলা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই সুযোগে বাড়িতে চুরি করতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। চুরি আটকাতে গেলে অভিযুক্তেরা মহিলার উপর চড়াও হয়। অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় তাঁকে।
মহিলার চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়েছিলেন বাড়িতে। দেখা যায়, ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। বিবস্ত্র এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গৃহকর্ত্রী। উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার।
এ নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে। রানাঘাটের পুলিশ সুপার আশিস মৌর্য বলেন, ‘‘ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী ও পরিবারের দাবি মেনে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে (কল্যাণী এমস) ময়নাতদন্ত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। বাকি সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’