Fraud

মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, ধৃত প্রাক্তন সেনাকর্মীর বাড়িতে চলল তল্লাশি

স্কুল শিক্ষক-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে গত বুধবার ভুলন আলি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এলাকায় নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়ে বেড়াতেন। প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর নদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হল ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি।

Advertisement

স্কুল শিক্ষক-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে গত বুধবার ভুলন আলি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে। সোমবার ভুলনকে নিয়ে তাঁর পলাশিপাড়ার পলশন্ডা গ্রামের বাড়িতে যায় পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি শেষে কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায় তারা। গোপীনাথপুরের ব্যাঙ্কেও যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুলনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য পরীক্ষা করা হয়। সংগ্রহ করা হয় সেই সব তথ্য।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতারণা-চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ময়নার বাচকার আড়ংকিয়ারানা গ্রামের বাসিন্দা অলক মাইতিকে ২০২১ সালে জুনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অলককে জেরা করে ভুলনের সন্ধান মেলে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ভুলন আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করা হয়। সেনার চাকরি হারিয়ে ভুলন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র শুরু করে। পুলিশই জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী হিসাবে পরিচয় প্রতারণা চক্র চালাতেন ভুলন।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, অলক-সহ বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ভুলনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। শিক্ষকতা এবং সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে অলক বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন। এ ভাবে অলক বেকার বেকারদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে না পারায় অলকের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০২১ সালের ২২ জুন পুলিশ অলককে গ্রেফতার করে। কিন্তু চক্রের অন্যতম মাথা ভুলনকে খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। এর পর গত বুধবার ইসলামপুর থেকে ভুলনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ভুলনকে আদালতের নির্দেশ পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জেরা করে চক্রে জড়িত অন্যদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন