কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বছর দেড়েক আগে ওই কলেজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে, কিছু দিনের মধ্যেই কলেজের শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ তুলতে থাকেন। এই চাপানউতোরের মধ্যেই, পুজোর পর থেকেই কলেজ শিক্ষকদের একাংশ ‘দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগ তুলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। বন্ধ হয়ে যায় ক্লাস।
দিন কয়েক আগে, জয়েন্ট ডিপিআই আরপি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চার সদস্যর এক প্রতিনিধিদল কলেজে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অধ্যক্ষের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।
এই অচলাবস্থার মাঝেই গত ২৩ ডিসেম্বর মানবী কলেজের প্রশাসক তথা নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসকের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন মানবী জানান, কলেজের সর্বস্তরে ‘চরম অসহযোগিতা’র জন্যই এ রাস্তায় হাঁটতে হল তাঁকে।
তিনি বলেন, ‘‘চরম অসহযোগিতা করছিলেন ওঁরা। বাধ্য হয়ে শুক্রবার জেলাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ভাবছি, আবার পুরনো কলেজেই ফিরে যাব।’’
জেলাশাসক বলেন, “অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তা উচ্চশিক্ষাদফতরে পাঠিয়েও দিয়েছি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, ওঁরাই নেবেন।”
তবে, মানবীর পদত্যাগের কথা জানেন না বলেই কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন। কলেজের টিচার্স কাউন্সিলের (টিসি) সম্পাদক শামিমা সুলতানা বলেন, “অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন বলেই জানি না আমরা। মন্তব্য করব কী করে!’’