প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই শনিবার সকাল থেকে বাস ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিন্ধান্ত নিল বেসরকারি বাস মালিক সংস্থা।
জাতীয় সড়কের উপরে নবগ্রাম থানার শিবপুর-মেহেদিপুরের মাঝে এবং সুতি থানার চাঁদের মোড়ে দু’জায়গায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ টোল আদায় নিয়ে অসন্তোষের জেরে ওই বাস মালিকেরা গত সোমবার থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘটের ফলে বহরমপুর থেকে খড়গ্রাম ভায়া পলসণ্ডা-নবগ্রাম-পাঁচগ্রাম-নগর, বহরমপুর থেকে সাগরদিঘি, বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ, বহরমপুর থেকে মালদহ-বালুরঘাট-শিলিগুড়ি, বহরমপুর থেকে রামপুরহাট ভায়া মোড়গ্রামগামী সমস্ত বেসরকারি বাস বন্ধ ছিল। ফলে ওই রুটের বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন। ওই যাত্রী দুর্ভোগের কথা ভেবে জেলা প্রশাসন এ দিন সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরেই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বাস মালিক সংস্থা।
বাস মালিক সংস্থার পক্ষে তপন অধিকারী বলেন, ‘‘ওই সমস্ত রুটে কোনও কোনও বাস দু’বার থেকে চার বার যাতায়াত করে থাকে। প্রতি বার ৩৭০ টাকা করে নেয় টোল আদায়কারী সংস্থা। প্রতি টোলে বাস প্রতি মাসিক হারে ২১০০ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানাই। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তা মানতে চায়নি।’’
তিনি জানান, এর আগে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে বাস ধর্মঘটের পথে নামেন তাঁরা। এ দিনও বৈঠকে তাঁরা একই দাবি জানান। জেলা প্রশাসন ও টোল আদায়কারী সংস্থার কর্তারা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে কথা দেন। সেই সঙ্গে জেলা জুড়ে বাস রুটে যে সমস্ত বেআইনি যান চলাচল করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তবে প্রশাসনিক কর্তাদের কথায় এখনই পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেন না বাস মালিকেরা। টোল আদায় ও বেআইনি যান সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসন কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে আগামী ২৯ জুন থেকে ফের মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বাস ধর্মঘটের হুমকিও দেন ওই বাস মালিক সংস্থা।
এ দিনের বৈঠকে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা, আরটিও এহেসান আলি-সহ বিভিন্ন কর্তা হাজির ছিলেন। অরবিন্দ মিনা বলেন, ‘‘টোল আদায় নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হবে। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে সব বেআইনি যান চলছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’