বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরকে জরিমানা করল বিদ্যুৎ দফতর। মুর্শিদাবাদে জরিমানা-সহ সেই অঙ্ক প্রায় ৫৭ লক্ষ!
স্বাস্থ্য ভবনের অডিট অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন শাখার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা ২২ নভেম্বর এক চিঠিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছেন যে, কেন এই সব বিদ্যুৎ বিল সময়ে পরিশোধ করা হয়নি। বকেয়া বিল না মেটানোয় জরিমানার অঙ্ককে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বলা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে বকেয়া ৩৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। জরিমানা-সহ সে অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৫৬.৮৫ লক্ষে। এই বকেয়ার তালিকায় রয়েছেন জঙ্গিপুরের সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। তাঁর বকেয়া ৫১ হাজার টাকা। তালিকায় রয়েছে ফরাক্কা, তেঘরি, অর্জুনপুর, অনুপনগর, সাগরদিঘি, কৃষ্ণপুর, নবগ্রাম ব্লক হাসপাতালগুলি একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ছাড়াও কান্দির মহকুমা হাসপাতালের তৎকালীন সুপারও।
বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার উপরের দিকে রয়েছে নদিয়া। বিদ্যুৎ দফতর বকেয়া ৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। এরপরেই বীরভূম। বকেয়া ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা।
তালিকায় নিজের আবাসনের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া থাকায় বিস্মিত জঙ্গিপুরের সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শাশ্বত মণ্ডল।
তিনি বলেন, “বিদ্যুতের বিল ট্রেজারি পাশ করে দেয়। তা সত্ত্বেও কেন এত বকেয়া বুঝতে পারছি না। খোঁজ নিচ্ছি।”
নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “এখনও বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত চিঠিটি পাইনি। এত বিদ্যুৎ বিল কী ভাবে বকেয়া থাকল তা খোঁজ নেব।”
তবে এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, জেলার বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও কর্মী, নার্সরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া আবাসনগুলিতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তার আলাদা কোনও বিদ্যুৎসংযোগ নেই। হাসপাতালের সরকারি নামে নেওয়া সংযোগ থেকেই আবাসনগুলিতে নিজেদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া হয়। এমনকী তাঁদের আবাসনে এসি, হিটার সবই চলছে তাতে। বিদ্যুৎ বিল আসছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামে। ফলে প্রতি মাসে চিকিৎসক ও কর্মীদের বিদ্যুতের দাম মেটাতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে।