না: দেওয়ালে সাঁটা ভাড়া না দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি। —নিজস্ব চিত্র।
ডোমকলে রক্ষা নেই, দোসর ভোট!
নিট ফল, শনিবার ও ভোটের দিন, রবিবার ডোমকলে যেতে চাইছেন না বেশির ভাগ গাড়ি চালক। তাঁরা বলছেন, ‘‘ডোমকলে ভোট মানে সে এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। দু’দিন ভাড়ায় না গেলে অসুবিধা হবে ঠিকই। কিন্তু গাড়ি ও প্রাণ দু’টোই তো বাঁচবে!’’
শনিবার বহরমপুরের এক গাড়ি সিন্ডিকেটের মালিক মিন্টু মণ্ডলের কাছে এসেছিলেন দুই যুবক। তাঁরা ডোমকলে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া নিতে চাইছিলেন। কিন্তু ডোমকল শুনেই পত্রপাঠ না করে দেন মিন্টু। হাজার অনুনয়েও কাজ হয়নি। বিনীত ভাবে মিন্টু তাঁদের বলেন, ‘‘অন্য কোথাও যেতে চাইলে বলুন, এখনই গাড়ির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু ডোমকল হলে কোনও ভাবেই পারব না।’’
সিন্ডিকেট মালিকদের দাবি, দিন কয়েক আগে গাড়ির চালকেরা বেশ কয়েক বার ডোমকল ঘুরে এসেছেন। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, শনি ও রবিবার ডোমকলে যাবেন না। ডোমকলের পুরভোটের আঁচ লেগেছে পড়শি জনপদ করিমপুরেও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ডোমকলের ভোট মানেই তো উত্তেজনা আর আতঙ্ক। এর আগে ডোমকলে যত বার ভোট হয়েছে তত বারই সেখানে খুন-জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ বার পুরভোটের আগে থেকেও ফুঁসছে সীমান্ত ঘেঁষা ওই এলাকা। ফলে রোগী থেকে ছাত্র, সরকারী কর্মী থেকে গাড়ির চালক— কমবেশি সকলেই ভোটের আগের দিন থেকে ডোমকলকে এড়িয়ে চলছেন।
করিমপুর থেকে বহরমপুর যাওয়ার জন্য অনেকেই হরিহরপাড়া হয়ে যাচ্ছেন। করিমপুরের এক গাড়ির মালিক অংশু বিশ্বাসের কথায়, “ভোটের মরসুমে ডোমকল অশান্ত থাকে। তাই দু’টো ভাড়া ছেড়ে দিয়েছি।” মুরুটিয়ার জার্মান শেখের মেয়ে ভর্তি ছিলেন ডোমকলের একটি নার্সিংহোমে। তাঁর ছুটি হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু গাড়ি না পাওয়ার ভয়ে শুক্রবারেই মেয়েকে বাড়ি নিয়েয়ে এসেছেন জার্মান। তাঁর কথায়, ‘‘ডোমকলের ভোট তো! তাই আর ঝুঁকি নিলাম না।’’ ডোমকল কলেজের পড়ুয়া করিমপুরের এক যুবক তিনি গত পাঁচ-ছ’দিন থেকেই কলেজে যাচ্ছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘ভোট মিটুক। তার পর কলেজে যাব।’’