প্রতীকী ছবি।
যত রাগ পথের উপর। কথায় কথায় অবরোধ রোজনামচা। তাই বলে ভুল করে অবরোধ?
আজ্ঞে, তা-ও হয়। মঙ্গলবার যেমনটা হয়েছে নাকাশিপাড়ার নাগাদি এলাকায়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পরে ভুল বুঝতে পারেন অবরোধকারীরা। তারপর অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু ভুলটা হল কী ভাবে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ‘ওয়ান-ওয়ে’ করে দিয়েছিল নাকাশিপাড়ার পুলিশ। বহরমপুর থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি লরি নির্দেশ অমান্য করে ঢুকে যাওয়ায় তাড়া করে কর্তব্যরত পুলিশের গাড়ি। নাগাদি বাজারের কাছে এসে লরিটিকে ধরে ফেলে পুলিশ।
কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ভেবে বসেন যে, টাকার জন্য ওই লরিটিকে তাড়া করেছে পুলিশ। সেই কারণে তারা বেশ কিছু সময় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ গিয়ে তাদের বুঝিয়ে বলার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতায় যাবেন বলে সকাল থেকে পুলিশ সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল। রাস্তায় যাতে কোনও ভাবেই যানজট না হয় তার জন্য রাস্তা ওয়ান-ওয়ে করে দেওয়া হয়। সেই সময় লরিটি লাইন ভেঙে অন্য রাস্তায় ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। কারণ কয়েক মাসের মধ্যে ওই নাগাদি লাগোয়া কালীগঞ্জ থানা এলাকায় একাধিক বার তোলা আদায়ের জন্য পুলিশ গাড়ির পিছনে তাড়া করেছে। ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনাও।
এ দিন পুলিশ একটি লরিকে তাড়া করছে দেখে এমনই সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। রাস্তা অবরোধ করে ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল হালসানা বলেন, “যখন জানতে পারলাম যে আসলে ঘটনাটা অন্য, তখন অবরোধ তুলে নিই।” তোলা আদায়ের অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।