জাতীয় সড়কে ধস, ব্যহত যান চলাচল

রাস্তার দুই লেনেরই কিনারার নরম মাটিতে ধস নেমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটল। দিন তিনেক আগে চাকদহের শিমুরালি যাত্রাপুর এলাকায় রাস্তার মাটি বসে যায়। ফলে জাতীয় সড়কের ওই অংশ যান চলাচলের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বিপজ্জনক ওই রাস্তা দিয়ে কোনওরকমে ঢিমেতালে বাস-লরি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাকদহ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

আটকে পড়েছে ট্রাক। — নিজস্ব চিত্র

রাস্তার দুই লেনেরই কিনারার নরম মাটিতে ধস নেমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটল।

Advertisement

দিন তিনেক আগে চাকদহের শিমুরালি যাত্রাপুর এলাকায় রাস্তার মাটি বসে যায়। ফলে জাতীয় সড়কের ওই অংশ যান চলাচলের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বিপজ্জনক ওই রাস্তা দিয়ে কোনওরকমে ঢিমেতালে বাস-লরি চলছে।

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রাপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। সেখানে রাস্তার ধারের মাটি সরে গিয়েছে। যে কারণে রাস্তার দু’ধারে দু-তিন ফুট এলাকাজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তা নিচু হয়ে গিয়েছে। আর এতেই এ দিন চরম যানজটের শিকার হতে হয় লোকজনকে। কলকাতাগামী গাড়িকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে রাস্তার মাঝ দিয়ে শুরু হয় বাস-লরি চলাচল। এতে রাস্তার দু’দিকে বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাস-লরির লম্বা লাইন পড়ে যায়। অনেক চালক আবার যানজটের হ্যাপা সামলাতে গলি রাস্তা খুঁজছেন।

Advertisement

সিভিক ভলান্টিয়ার ও চাকদহ থানার জনা পনেরো পুলিশকর্মী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তবুও রাস্তার যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে লরি নিয়ে মালদহে যাচ্ছিলেন চালক শেখর সিংহ। তিনি বলেন, “সামান্য রাস্তা পার হতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। আর রাস্তার দুই ধারের যা অবস্থা, তাতে গাড়ি চালাতেই ভয় লাগছে।’’

সমস্যার কথা স্বীকার করে কল্যাণীর মহকুমাশাসক স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, “রাস্তায় ধস নামায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগরের অঞ্চলের অধিকর্তা অজিত সিংহ বলেন, “পাঁক মিশ্রিত নরম মাটির উপর বহুদিন আগে ওই রাস্তা তৈরি হয়েছিল। ফলে বৃষ্টি ও গাড়ির চাপে দু’ধারে ধস নেমেছে। রাস্তা মেরামত করার চেষ্টা চলছে।’’ তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক একান্তে জানাচ্ছেন, আসলে গোটা রাস্তা ভেঙেচুরে নতুন করে মাটি ফেলতে হবে। তা এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। তবে কাজ চালানোর মতো কিছু একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন