Murder Case

নদী থেকে উদ্ধার কিশোরীর দেহ! অভিযোগ, ধর্ষণের পর প্রেমিক ভাসিয়ে দিয়েছেন

পরিবারের এক সদস্যের দাবি, বেরনোর কিছু ক্ষণ আগে বেশ কয়েক বার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলেছে মেয়ে। কিন্তু তার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৯
Share:

দু’দিন নিখোঁজের পর জলঙ্গী নদীতে ভেসে ওঠে নাবালিকার দেহ। —প্রতীকী চিত্র।

সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। বুধবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলা বারোয়ারির কাছে জলঙ্গী নদীর সারদা ঘাটে ভেসে উঠল ১৭ বছরের ওই কিশোরীর দেহ। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো বানানোয় বেশ জনপ্রিয় ওই নাবালিকা। বুধবার সকালে জলঙ্গীর ঘাটে স্নান করতে এসে স্থানীয়দের নজরে পড়ে নাবালিকার দেহ। তাঁরা খবর দেন কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানায়। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে ওই কিশোরীর কোনও পরিচয় জানা না গেলেও দুপুর হতেই তার পরিবারের খোঁজ মেলে। ১৭ বছরের ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক তাদের মেয়েকে ফোন করে ডেকে ধর্ষণের পর খুন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে থানায়।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, গত দু’বছর ধরে ওই নাবালিকা এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। সমাজমাধ্যমে তাদের পরিচয়। গত সোমবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এর পর বিকেল ৩টা নাগাদ পরিবারের কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কিশোরী। পরিবারের এক সদস্যের দাবি, বেরনোর কিছু ক্ষণ আগে বেশ কয়েক বার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলেছে মেয়ে। কিন্তু তার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি।

Advertisement

মৃতার দিদির অভিযোগ, ‘‘বোনের প্রেমিক ও তার ৩ বন্ধু মিলেই ওকে দু’দিন আটকে রেখেছিল। ওকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

অন্য দিকে, মৃতার মায়ের কথায়, ‘‘কী ভাবে কী হল, আমি কিছু জানি না। তবে ওই ছেলেটাই (প্রেমিক) খুন করেছে। এটুকু নিশ্চিত।’’

ইতিমধ্যে মৃতার বাবার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। তার পরই আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, হাসপাতালের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। তবে শ্বাসরোধ করে খুনের আশঙ্কা রয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন