Anganwadi Center Food Row

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সাপের খোলস! চোখ কপালে অভিভাবকদের, শোরগোল নদিয়ার গ্রামে

ফারজিনা খাতুন নামে এক অভিভাবক সন্তানদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তাঁর দাবি, বাচ্চাদের সেই খাবার দিতে গিয়ে তাঁর চোখ কপালে ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪০
Share:

হাসপাতালে শিশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

খিচুড়িতে সাপের খোলস ছিল। তাই খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন অন্তত ২০টি শিশু। এই নিয়ে শোরগোল নদিয়ার গ্রামে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুললেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ডোমপুকুর এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা খিচুড়িতে সাপের খোলস ছিল। সেই খাবার খেয়ে একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত ২০টি শিশুকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।

ফারজিনা খাতুন নামে এক অভিভাবক সন্তানদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তাঁর দাবি, বাচ্চাদের সেই খাবার দিতে গিয়ে তাঁর চোখ কপালে ওঠে। তিনি দেখেন খিছুড়িতে পড়ে আছে সাপের খোলস। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গ্রামবাসীদের জানান। কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তবে তার মধ্যে অনেক শিশুই ওই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছে। তারা পেটে ব্যথা এবং বমির মতো উপসর্গে ভুগতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে মাইকিং করে প্রচার শুরু করেন স্থানীয়েরা। ঘোষণা করা হয়, কেউ যাতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া খিচুড়ি বাচ্চাদের না খাওয়ান।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর কোনও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি না থাকলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ চরমে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে তাঁরা আগেও অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কান দেননি কর্মীরা। বুধবার বেশ খানিক ক্ষণ ক্ষুব্ধ জনতা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে ভিড় করে বিক্ষোভ দেখান। এই বিতর্কে চাপড়া ব্লকের শিশু সংহতি বিকাশ দফতরের আধিকারিক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘খাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সাপের খোলস পাওয়ার অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। সুপারভাইজারের মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।’’ চিকিৎসক শান্তনু চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, সাপের খোলসে সরাসরি কোন বিষ থাকে না। তাই এটাকে বিষাক্ত বলা ঠিক নয়। তবে সাপের খোলস পেটে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘তবে সবচেয়ে যেটি বেশি কাজ করে সেটা হল ভয় এবং আতঙ্ক। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement