SIR in West Bengal

বিএলও ফর্ম দেওয়ার পর নথির জন্য দিশাহারা, গারুলিয়ায় মৃত্যু যুবকের, পরিবারের দাবি, কারণ এসআইআর!

সুমনের মা দীপা মজুমদার জানান, মঙ্গলবারই বিএলও তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এসআইআর ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকে নাকি অস্থির হয়ে পড়েছিলেন ছেলে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪
Share:

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

এসআইআর-আতঙ্কে আবার আত্মহত্যার অভিযোগ। এ বার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া। মৃত যুবকের মায়ের দাবি, এসআইআরের জন্য আতঙ্কে ভুগছিলেন ছেলে। প্রয়োজনীয় নথি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুমন মজুমদার। ৩২ বছরের যুবক টোটো চালাতেন। নোয়াপাড়া থানার গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সোদলা ট্যাঙ্ক রোডের নিত্যানন্দপল্লির বাসিন্দা তিনি। বুধবার পুলিশ গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে। তার পর থেকে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে। তৃণমূল দুষছে এসআইআরকে। বিজেপি অভিযোগ উড়িয়ে জানাচ্ছে, পারিবারিক বা আর্থিক কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন সুমন। রাজনৈতিক স্বার্থে ওই ঘটনার সঙ্গে এসআইআরের নাম জুড়ছে শাসকদল।

সুমনের মা দীপা মজুমদার জানান, মঙ্গলবারই বিএলও তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এসআইআর ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকে নাকি অস্থির হয়ে পড়েছিলেন ছেলে। মহিলার কথায়, ‘‘ফর্ম হাতে পেতেই ছেলে ভীষণ টেনশন করছিল। প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় চিন্তিত হয়ে ও আত্মহত্যা করেছে।’’ ওই এলাকার কাউন্সিলর পঙ্কজ দাসের বক্তব্যও তা-ই। তিনি বলেন, ‘‘আর্থিক অভাবের পাশাপাশি এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ওই যুবক। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।’’ তবে বিজেপির দাবি, আত্মহত্যার কারণ স্রেফ পারিবারিক। বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডে বলেন, ‘‘ওই যুবক ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছিলেন। শুনেছি, দু’দিন আগে টোটো বিক্রি করে কিছুটা দেনা মিটিয়েছেন। সুতরাং এসআইআর নিয়ে মৃত্যুর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

Advertisement

এ পর্যন্ত গত কয়েক দিনে রাজ্যে ১৮ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে এসআইআরকে দায়ী করেছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement