লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সাইফুদ্দিন বিশ্বাসের পর, মাদক পাচারে নাম জড়ালো আরএসপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফারুখ ইসলামের।
মাদক পাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছে লালগোলা থানার পুলিশ।
বহরমপুরে দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা আদালতে হাজির করানো হলে তাকে দশ দিন পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশের খাতায় হেরোইন ও গরু পাচার চক্রের আন্তর্জাতিক চক্রের অন্যতম দুই চাঁই ফারুখ, তদন্তে নেমে এমনই কোঁজ পেয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, পুলিশ এত দিনে এ কথা কবুল করছে বটে, তবে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে ওই দু’জন যে পাচারের রমরমা ব্যবসা ফেঁদেছে তা তাঁদের সকলেরই জানা।
অগস্ট মাসে লালাগোলার কালিকাপুরের আজিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেই সূত্রেই পুলিশের খাতায় নাম জড়িয়ে ছিল সইফুদ্দিনের। তবে, তার খোঁজ মেলেনি আজও। পুলিশের কথায়, সইফুদ্দিন ‘নিখোঁজ’।
সরকার পক্ষের আইনজীবী মিতাভ্র ধরগুপ্ত বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে, কেজিখানেক মাদক-সহ সেনাউল শেখ, কাইফুল শেখ ও কাইফুলের স্ত্রী মনেরা বিবিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাদের জেরা করেই ফারুকের নাম উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’’
এ ব্যাপারে আরএসপি-র মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক বিশ্বানাথ বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনার কথা আমার জানা নেই। না জেনে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ হেরোইন পাচারে জড়িয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও পলাতক দলের জেলানেতা সইফুদ্দিন প্রসঙ্গে তৃণমূলের লালবাগ মহকুমা সভাপতি রাজীব হোসেন অবশ্য স্পষ্ট বলছেন, ‘‘কেউ বেআইনি কাজে, বা পাচারে জড়িত থাকলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। সে ক্ষেত্রে দল বরং প্রশাসনকেই সহযোগিতা করবে।’’