Sahebnagar

অধরা তহির, দাবি ‘ফাঁসি’র

ইতিমধ্যেই নাগরিক মঞ্চের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাহেবনগর শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪২
Share:

প্রশ্ন: সাহেবনগরে পড়ল পোস্টার। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

গুলি-কাণ্ডের পরে বন‌্ধের চেহারা নেওয়া সীমান্তের সাহেবনগর শনিবার যেন জড়তা ভেঙে সহজ হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। ঘটনার তিন দিন পরে, এ দিন দোকানপাট তেমন না খুললেও সকালে গ্রামের বাজার বসেছিল আগের মতোই। খুলেছে স্কুল। তবে পঞ্চায়েত ভবনে এ দিনও তালা। রাস্তায় চায়ের দোকানে একই আলোচনা তহিরকে গ্রেফতার করতে হবে। রাস্তায় ছুটন্ত টোটোর গায়ে এ দিনও চোখে পড়েছে সেই চাপা অসন্তোষ— ‘তহির মিল্টনের ফাঁসি চাই!’ এ দিন সকাল থেকে গ্রামের আনাচ কানাচে তাদের ফাঁসির দাবিতে সই সংগ্রহও করতে দেখা গিয়েছে গ্রামীণ মানুষজনকে। নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— রবিবার পর্যন্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপরে নজর রাখবেন তাঁরা। না হলে ‘বৃহত্তর আন্দোলন!’ নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম রহমানের দাবি, ‘‘আমরা পুলিশের উপর ভরসা রেখেছি, তাদের কথাই বিশ্বাস করেছি। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস নিয়ে যদি ছেলেখেলা করা হয়, তা হলে আন্দোলন আরও ভয়াবহ হয়ে আছড়ে পড়বে!’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আঁচ করেই তহিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে।’’ তবে, তহির কিংবা অন্য অভিযুক্ত মিল্টনের খোঁজ এ দিনও মেলেনি। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, এই মুহূর্তে তহিরকে দল ঝেড়ে ফেলতে না পারলেও জলঙ্গি থেকে তাকে সরে যেতে হবে। এক তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘মানুষের ক্ষোভ যদি দল আঁচ না করতে পারে তা হলে বিপদ!’’ ইতিমধ্যেই নাগরিক মঞ্চের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। সে দিক থেকে কিছুটা পিছিয়েই রয়েছে শাসক দল তৃণমূল। এ কথা দলীয় নেতা-কর্মীরাও মেনে নিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিমান, সব দলের নেতারা এলেও মৃত গ্রামবাসীদের বাড়িতে যাননি কোনও তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের ডোমকল মহকুমা সভাপতি মেহেবুব মুর্শেদ কবুল করেন, ‘‘আসলে ওই এলাকায় যা পরিস্থিতি, তাতে দলের কোনও নেতা কর্মী গ্রামে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। তবে গ্রামবাসীদের পাশেই আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন