— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অষ্টমীর দুপুরে শোকের ছায়া নদিয়ায়। মাত্র ২০০ টাকা চুরির অপবাদে আত্মঘাতী হল স্কুলপড়ুয়া খুদে। মঙ্গলবার নদিয়ার তেহট্ট থানায় দত্তপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম বিট্টু হালদার (১১)। স্থানীয় তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার পাড়ারই এক দোকান থেকে ২০০ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছিল বিট্টুর বিরুদ্ধে। রবীন্দ্রনাথ হালদার নামে ওই দোকানদার টাকার জন্য তার সাইকেলও আটকে রাখেন। দীর্ঘক্ষণ ওই খুদেকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা বিট্টু বাড়িতে জানালে তার মা স্থির করেন, ওই দোকানদারকে টাকা ফিরিয়ে দেবেন। তাতে আপত্তি তোলে বিট্টু। তার মত ছিল, অহেতুক ২০০ টাকা ফিরিয়ে দিলে উল্টে মনে হবে যে টাকাটা সে-ই চুরি করেছিল। তার পরেও বিট্টুর মা ও দাদা ওই দোকানদারের কাছে গেলে তাঁদেরকেও অপমান করা হয় বলে দাবি। ওই ঘটনার পরেই বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্কুল পড়ুয়া ওই খুদে।
পরিবারের দাবি, চুরির ‘অপবাদ’ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্র। নিহত খুদের মা সুজাতা হালদারের দাবি, ছেলে আত্মহত্যার আগে বার বার বলছিল, সে চুরি করেনি। সুজাতার কথায়, ‘‘আমার ছেলে কোনও দিন চুরি করতে পারে না। ওই দোকানদার আমার ছেলেকে দিয়ে ফাইফরমাশ খাটাত। ছেলে এসে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে সব বলল। আমি বললাম, চল টাকা দিয়ে আসি। ছেলে বলল, টাকা দিলে তো আমার মিথ্যে বদনাম হবে মা। কত বার বলল, মা আমি চুরি করিনি। ২০০ টাকার জন্য শেষ হয়ে গেল ছেলেটা!’’ মঙ্গলবার বিট্টুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।