আম বা নারকেল বাগানে আদা, হলুদ চাষ করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। এ বার ‘সাথী চাষ’ হিসেবে গোলমরিচ চাষের পরামর্শ দিলেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
গোলমরিচ চাষের জন্যে উত্তরবঙ্গের জল-আবহাওয়া আদর্শ হলেও নদিয়ার মাটিতেও বিশেষ বিশেষ প্রজাতির গোলমরিচ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সোমবার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মশলার উপরে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে তাঁদের আলোচনায় কৃষি বিজ্ঞানীরা জেলায় গোলমরিচ চাষের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মশলা ও বাগিচা ফসল বিভাগের অধ্যাপক দীপক কুমার ঘোষ জানান, নদিয়ার একরের পর একর জমিতে আম, কাঁঠাল, নারকেল চাষ হয়। এ ধরনের বাগানে একটি গাছ অন্যটির থেকে দূরে লাগানো হয়। মাঝের জায়গাগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকে। সেখানে গোলমরিচের চাষ করা যেতে পারে।
বাজারে এখন গোলমরিচের চাহিদা রয়েছে। ভাল দামও মিলছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের দাবি, দেশে প্রায় ৭৫ রকমের জাত আছে। কিন্তু এই পরিবেশে পানিউর-১ ও পানিউর-২ এর চাষ ভাল হবে।
কোনও লম্বা গাছের নীচে পুঁততে হবে গোলমরিচের চারা। সেই চারা ওই গাছকে জড়িয়ে বাড়বে। উত্তরবঙ্গে অনেক বেশি হলেও নদিয়ার মাটিতে গোলমরিচের চাষ করলে প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে পাঁচ কেজি করে গোলমরিচ মিলতে পারে।