—প্রতীকী চিত্র।
মাস চারেক আগে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল ফতেমা খাতুনের। বাপের বাড়ির দাবি খুন করা হয়েছে যুবতীকে। তাদের আর্জির প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই অনুযায়ী কবর থেকে দেহ তুলে কল্যাণী এমসে পাঠাল মুর্শিদাবাদের পুলিশ।
গত ২৯ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তেঘরী হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফতেমার মৃত্যু হয়। শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মহত্যা করেছেন বধূ। তবে বাপের বাড়ির লোকজন খুনের অভিযোগ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের কর্তব্য পালন করেনি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। আদালত মৃতার দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কল্যাণী এমসে।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ বধূর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল।
উল্লেখ্য, প্রথম বার ময়নাতদন্ত হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু বধূর পরিবারের অভিযোগ, খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু আত্মহত্যা হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেন ফতেমার স্বামী এজাজ আহমেদ। এ নিয়ে প্রথমে জঙ্গিপুর আদালতের দারস্থ হয় বাপের বাড়ি। পরে কলকাতা হাই কোর্টে যায় তারা। অবশেষে মূল অভিযুক্ত এজাজকে সঙ্গে নিয়ে দেহ কবর থেকে তোলা হল।
মৃতার মা বলেন, ‘‘মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিচার না পেয়ে হাই কোর্টের দারস্থ হয়েছি। আদালতের নির্দেশে কল্যাণী এমসে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত হবে। আশা করি, এ বার বোঝা যাবে মেয়ের মৃত্যুর কারণ।’’ তিনি জানান, ফোন করে খবর দেওয়া হয়েছিল তাঁর মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখেন, ফতেমাকে মাটিতে শোয়ানো রয়েছে। তাঁর মাথা এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ফতেমার দাদা জানারুল আনসারি বলেন, “ওরা আমার বোনকে পিটিয়ে খুন করেছিল। পুলিশকে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দোষীরা যাতে শাস্তি পায়, সে জন্য আমরা আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে। আশা রাখছি, সুবিচার মিলবে।”