—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, শুধু এই সন্দেহে তাঁকে হত্যা করে নিজেকে শেষ করে দিলেন স্বামী! ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্যানিংয়ের তালদি বয়ারসিং গ্রামে। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, মাত্র তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই দু’জনের।
মৃতদের নাম নাজির মোল্লা (২৪) এবং রিঙ্কি মোল্লা (২২)। শনিবার রাতে বাড়িতে রিঙ্কিকে গলা টিপে খুন করেন নাসির। তার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে যুগলের দেহ উদ্ধারের পর শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ভিড় জমে যায় বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এ পর্যন্ত পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী পরকীয়া করছেন, এই সন্দেহে তাঁকে খুন করেন স্বামী। পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের পর সব কিছু ঠিকঠাক চললেও সমস্যার সূত্রপাত বছর খানেক আগে। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পারেন নাজির। যদিও সত্যিই স্ত্রী তা স্বীকার করেননি। আদৌ তাঁর পরকীয়া ছিল কি না, তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু ওই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দম্পতির মধ্যে ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল। প্রতিবেশীরা বলছেন, প্রায়শই দু’জন ঝগড়া করতেন।
গত কয়েক দিনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। যখন তখন তাঁদের ঝগড়া হত বলে খবর। পরিবারের দাবি, ওই কারণে স্ত্রীকে মেরে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন নাজির। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘রিঙ্কি মোল্লার নিথর দেহ পড়ে ছিল বিছানায়। ওই ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নাজির মোল্লাকে। মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ।’’