Birnagar

সংরক্ষিত উপপ্রধানের আসন, রেহাই প্রধানের

গত পুরভোটে এখানে ১৪টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বাকি দু’টিতে নির্দল এবং একটি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

বীরনগর  শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত

সংরক্ষিত হচ্ছে উপ-পুরপ্রধান, প্রাক্তন পুরপ্রধান এবং শাসক দলের বর্ষীয়ান কাউন্সিলারের আসন। তবে সংরক্ষণের খসড়া তালিকা থেকে রেহাই পেয়েছেন পুরপ্রধান। এই হল সংক্ষেপে পুর নির্বাচনের আগে বীরনগরের অবস্থা।

Advertisement

গত পুরভোটে এখানে ১৪টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বাকি দু’টিতে নির্দল এবং একটি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। পরে নির্দল এবং এক সিপিএম কাউন্সিলারেরা তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার পুরভোটে আসন সংরক্ষণের গেরোয় শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলার আটকে পড়েছেন। গত পুরভোটে দলের টিকিট না-পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জয়ী হন গোবিন্দ পোদ্দার এবং নন্দদুলাল রায়। নন্দবাবু প্রায় পাঁচ দশকের কাউন্সিলার, এক সময়ে তিন দশক ধরে পুরপ্রধান ছিলেন। তাঁর দশ নম্বর ওয়ার্ড এ বার তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।

আট নম্বর ওয়ার্ডে দু’বারের কাউন্সিলার বর্তমান উপ-পুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দার। তাঁর স্ত্রী-ও একবার কাউন্সিলার হয়েছিলেন। সেই আট নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রাজনীতিতে এই দু’জনই বর্তমান পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধী হিসাবে পরিচিত। এঁরা সংরক্ষণের আওতায় পড়লেও আট বারের কাউন্সিলার তথা বর্তমানের পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চার নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকার বাইরেই রয়েছে।

Advertisement

শাসক দলের একাধিক নেতা এখানে আসন সংরক্ষনের আওতায় পড়ে যথেষ্ট বেকায়দায় রয়েছেন। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বীরনগর শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দাসের ছয় নম্বর ওয়ার্ডও সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। কাজেই তাঁর দাঁড়াতে বাধা নেই। তবে আসন সংরক্ষণের মধ্যে পড়েছেন পুরপ্রধান-ঘনিষ্ঠ তথা বীরনগর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মিন্টু দে। তাঁর এক নম্বর ওয়ার্ড এ বার তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। বীরনগরের দীর্ঘদিনের দুই কাউন্সিলার সুস্মিতা বিশ্বাস ও আরতি হালদার। সুস্মিতা দেবীর সাত নম্বর ওয়ার্ড খসড়া তালিকায় সাধারণ আসন হয়েছে। আরতি হালদারের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এ বার মহিলা সংরক্ষিত। কাজেই তাঁদের দু’জনেরই আগের আসনে দাঁড়াতে বাধা নেই। গত নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন শরদিন্দু দেবনাথ। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর ১১ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকায় নেই।

পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ-পুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দারেরা বলছেন, “এটা নিয়ে দলই যা করার করবে। দল যাঁকে যেখানে প্রার্থী করবে তিনি সেখানে প্রার্থী হবেন। কাকে, কোথায় প্রার্থী করা হবে বা কাকে হবে না। তা দলের সিদ্ধান্ত।” সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায়ের কথাতেও, “প্রার্থী স্থির করার বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন