মা চঞ্চলা দাস
খাটে অসহায় ভাবে শুয়ে ৯০ বছরের বৃদ্ধা। আর তাঁর চুলের মুঠি ধরে একের পর এক চড় মারছে ছেলে! যা দেখে শিউরে উঠেছিলেন এলাকার লোকজন।
বাধা দিয়েও লাভ হয়নি। বৃদ্ধার ছেলে উল্টে তাঁদের শাসায় বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। এর পরে গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই শ্রীমান এখন হাজতে। শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করমচাপুর গ্রামের ঘটনা।
শুক্রবার শান্তিপুর থানায় এলাকার লোকজন ওই ভিডিয়ো ক্লিপ জমা দেন। রাতেই প্রদীপকে হেফাজতে নেয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পরে বৃদ্ধা ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে প্রদীপ। শনিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্ত প্রদীপ। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার নাম চঞ্চলা দাস। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন দিল্লিতে। করমচাপুরে ছোট ছেলে প্রদীপ দাসের সঙ্গে থাকেন তিনি। প্রায়ই বৃদ্ধার আর্তনাদ কানে আসত এলাকার লোকজনের। দিন কয়েক আগে তাঁরা দেখতে পান, প্রদীপ মা’কে মারধর করছে। প্রতিবাদ করায় সে তাঁদের শাসায় বলে অভিযোগ। এর পরেই লুকিয়ে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শোভা মণ্ডল বলেন, “বৃদ্ধা সে ভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। বিরক্ত হয়ে ছেলে তাঁকে মারধর করত। পাড়ার কারও সঙ্গে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।”