Sound Box

সমবায় মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বক্স, বিতর্ক

মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই সময়ে রাজ্যের সর্বত্র প্রকাশ্যে মাইক বা বক্স বাজানো নিষিদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর ও পলাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৫
Share:

মন্ত্রীর পাশেই বাজল বক্স। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

জেলা সফরে আসা সমবায় মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বুধবার কৃষ্ণনগরে বক্স বাজানো হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

Advertisement

মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই সময়ে রাজ্যের সর্বত্র প্রকাশ্যে মাইক বা বক্স বাজানো নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আবার এউ দিনই তেহট্টের বার্নিয়ায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের উপস্থিতিতে হওয়া সমবায় ব্যাঙ্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেন তাঁরই দলের বিধায়ক। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় সমবায় মন্ত্রীকে।

সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক জেলায় ২৬৩টি কাস্টমার সার্ভেস পয়েন্ট খোলার অনুমতি পেয়েছে। বুধবার তার মধ্যে ১৪১টি উদ্বোধন হয়। কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অরূপ রায়। অনুষ্ঠানের তাল কেটে যায় বক্স বেজে উঠতেই। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা মাঠের উল্টো দিকে মৃণালিনী গার্লস হাইস্কুল। সেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে। ফলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বক্স বাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। বিষয়টা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্তারা।

Advertisement

পরিস্থিতি সামলাতে বক্তৃতা দিতে উঠে অরূপ রায় বলেন, “আমরা চাই না যে পড়ুয়াদের কোনও রকম সমস্যা হোক। তাই আওয়াজ একেবারে কমিয়ে বক্স বাজানো হচ্ছে। শব্দ কোনও ভাবেই মাঠের বাইরে যাচ্ছে না।’’ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বাউন্ডারির বাইরে শব্দ যায়নি। আমরা এমন কিছু করব না যাতে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়।” তিনি আরও দাবি করেন যে, ঘেরা জায়গায় বক্স বাজানো নিষিদ্ধ নয়। তাঁর কথায়, “আমি কালকেই জেলাশাসককে বলে দিয়েছিলাম যে, এমন কিছু যেন না-হয় যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হয়।” জেলাশাসক বিভু গোয়েলের বক্তব্য, “বক্সের শব্দ কোনও ভাবেই মাঠের বাইরে যায়নি। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি।” মৃণালিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মণীষা রায়ও বলেন, “বক্সের শব্দ
আসছিল না।”

এ দিন পলাশিপাড়ার বার্নিয়ায় অরূপ রায়ের অনুষ্ঠান বয়কট করেন এলাকার বিধায়ক তাপস সাহা। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, ‘‘ওই সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির মেয়াদ বেআইনি ভাবে দু’বার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই আমি এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছি।’’

যদিও এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের অন্দরে অন্য গল্প রয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। পলাশিপাড়ার বার্নিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে বিধায়ক তাপস সাহা ও বার্নিয়ার তৃণমূল নেতা শংকর ঘোষ চৌধুরীর মধ্যে। এর জন্যই তাপস সাহা বুধবার ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বলে অনেকে মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন