Kandi Law College

বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, পাশ করানোর দাবিতে অধ্যক্ষকে আটকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কান্দিতে

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, এক বছর আগে যখন পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছিল, তখন তাঁদের অকৃতকার্য দেখায়। পরবর্তীতে তাঁরা ষষ্ঠ সিমেস্টার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান এবং তাঁরা তাতে পাশ করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১
Share:

কান্দির বিমলচন্দ্র কলেজ অফ ল-তে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বিমলচন্দ্র কলেজ অফ ল-তে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কলেজের মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর, কলেজে আটকে রয়েছেন অধ্যক্ষ। কলেজের ‘অনৈতিক’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্বতন সিমেস্টারে পাশ করানোর দাবিতে এই আন্দোলন বলে দাবি পড়ুয়াদের।

Advertisement

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, এক বছর আগে যখন পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছিল, তখন তাঁদের অকৃতকার্য দেখায়। পরবর্তীতে তাঁরা ষষ্ঠ সিমেস্টার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান এবং তাঁরা তাতে পাশ করেন। কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, সপ্তম সিমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার সময় পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষাতে বসতে দেওয়া হবে। এক সঙ্গে দু’টি পরীক্ষা দিতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সপ্তম সিমেস্টারের ক্লাসে ১২,৫০০ টাকা দিয়ে ভর্তি করিয়ে নেওয়া ও ক্লাস করতে দেওয়ার পাশাপাশি, সপ্তম সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রজেক্ট, ইন্টারনাল পরীক্ষা এবং মাসিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এখন কলেজ থেকে বলা হচ্ছে, সপ্তম সিমেস্টারের পরীক্ষায় তাঁদের বসতে দেওয়া হবে না। পড়ুয়াদের দাবি, আগে না জানিয়ে এখন পরীক্ষার সময় হঠাৎ করে এই কথা বলছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পঞ্চম এবং সপ্তম সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসার এবং তার দাবিতেই বৃহস্পতিবার কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ বসেন পড়ুয়ারা। যদি পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসতে না পান, তা হলে তারা এক বছর পিছিয়ে যাবে বলে দাবি তাদের। পাশাপাশি, পড়ুয়ারা ওই কলেজের অধ্যক্ষ ভূপেন্দ্রকুমার বর্মার অপসারণ দাবি করেন। এবং বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও কলেজ গেটে অবস্থান চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের এই অবস্থার জেরে কলেজের ভিতরে আটকে পড়েছে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-সহ কলেজের অন্য কর্মচারীরা।

বিক্ষোভকারী ছাত্র সরোজ মিয়া বলেন, ‘‘যদি পঞ্চম ও সপ্তম সিমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না থেকে থাকে, তবে কেন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল? কেন এতদিন ক্লাস করানো হল, পরীক্ষার ফিস নেওয়া হল?’’ কলেজের অধ্যক্ষ ভূপেন্দ্রের দাবি, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা অনৈতিক আবদার করছে। আমরা আলোচনায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন