রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।— নিজস্ব চিত্র
যে শিক্ষক এনসিসি করাতেন, তিনি স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন। তার পরে আর সেই দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে কেউ রাজি হচ্ছেন না। ফলে, প্রায় দু’বছর এনসিসি বন্ধ সাগরপাড়া হাইস্কুলে।
মরিয়া হয়ে শনিবার এনসিসি-র পোশাক পরে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাল জনা পঞ্চাশ ছাত্র। বেলা ১১টা বিক্ষোভ শুরু হয়। স্কুলের সামনে রাজ্য সড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ছাত্রেরা। শেষে জলঙ্গির যুগ্ম বিডিও ও পুলিশ গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেল ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে।
জলঙ্গির ওই স্কুলের জন্মলগ্ন থেকে এনসিসি চালু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তার দায়িত্ব ছিল শিক্ষক চণ্ডীচরণ মণ্ডলের উপরে। তিনি অবসর নিতেই সমস্যার সূচনা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলি বলেন, ‘‘চণ্ডীবাবু অবসর নেওয়ার পরে নতুন করে আর কোনও শিক্ষক ওই দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। কমবয়সী কয়েক জন শিক্ষককে অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। বিষয়টি আবশ্যিক না হওয়ায় আমরা কোনও শিক্ষককে বাধ্য করতে পারি না। ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’
তবে ছাত্রদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষেরই বিষয়টি নিয়ে হেলদোল নেই। স্কুলের ছাত্র রাজেশ প্রামাণিক দাবি করে, ‘‘আমরা বারবার বলার পরেও শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে কোনও রকম গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।’’
সকাল থেকে বিক্ষোভের জেরে এ দিন প্রথম ক্লাসের পরেই স্কুলের পঠনপাঠন লাটে ওঠে। যুগ্ম বিডিও এসে কথা না বলা পর্যন্ত ছাত্রেরা অনড় হয়ে থেকেছে। পরে যুগ্ম বিডিও দীপক দেবনাথ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সেখানেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা হবে। আশা করছি, দিন কয়েকের মধ্যে সমস্যার সুরাহা হযে যাবে।’’
শুধু কথায় যে চিঁড়ে ভি়জবে না, ছাত্রেরা তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে। রাজেশের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা দিন কয়েক দেখব। তার পরেও বিষয়টির সমাধান না হলে আবার সবাই মিলে পথে নামব।’’