এ বার গরু পাচার প্রসঙ্গ শুভেন্দুর মুখে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দু অধিকারী। গরু পাচার সম্পর্কে ফের সতর্কবার্তা শোনা গেল। শুক্রবার বহরমপুরের নওদাপাড়ার এক অনুষ্ঠানে জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মীদের জেলায় গরু পাচারের বৃদ্ধি নিয়ে সাবধান করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০০:৪৮
Share:

বহরমপুরে তৃণমূলের সভায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দু অধিকারী। গরু পাচার সম্পর্কে ফের সতর্কবার্তা শোনা গেল। শুক্রবার বহরমপুরের নওদাপাড়ার এক অনুষ্ঠানে জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মীদের জেলায় গরু পাচারের বৃদ্ধি নিয়ে সাবধান করলেন। দলীয় সূত্রে খবর, জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা নেতাদের শুভেন্দু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসার আগে নবান্নে গিয়েছিলাম। সেখানেই শুনেছি, এই জেলায় পাচার বেড়েছে। আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।’’

Advertisement

বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে গরু পাচার ফের উর্ধমুখী হওয়ার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারপরেই শুভেন্দুর দলীয় বৈঠকে এই সতর্কবার্তা। তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। বিরোধীদের দাবি, জেলায় তৃণমূলের কিছু নেতার মদতেই দীর্ঘদিন গরু পাচার চলছে। তাই শুভেন্দুর এ দিন দলীয় বৈঠকে এই প্রসঙ্গ কেন তুললেন, তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে দলের অন্দরে।

দলের সূত্রে খবর, এ দিন শুভেন্দু দলের কোন্দল নিয়েও নেতাদের সতর্ক করে দেন। যদিও সভায় শুরু থেকেই দলের কোন্দল নিয়ে বিভিন্ন নেতা সরব হয়। নাম না-জানানোর শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতা জানান, হরিহরপাড়ার এক প্রবীণ নেতা শুভেন্দুর সামনেই হুমকির সুরে বলে বসেন, ‘‘আমার নির্দল হয়ে লড়ার অভ্যেস আছে। এলাকায় কেউ নাক গলালে আমিও ছেড়ে কথা বলব না!’’ ভগবানগোলার আরও এক নেতা তাঁর এলাকায় বিধায়কের একছত্র আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। এই সময় মান্নানকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

সভায় মিনিট কুড়ির বক্তব্যে শুভেন্দু অবশ্য জেলা নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দেন। দলীয় সূত্রে খবর, তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহার নাম করে বলেন, ‘‘এলাকার ব্লক সভাপতির সঙ্গে তাঁর (সুব্রতবাবুর) মুখ দেখাদেখি বন্ধ। এ সব চলবে না। এ সব আছে বলেই এই জেলায় ভোটে তার প্রভাব পড়ে।’’

এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ খাগড়াঘাট স্টেশন লাগোয়া এক অনুষ্ঠান বাড়িতে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকের সভাপতি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শুভেন্দু।

দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু সভায় বলেন, ‘‘নোটের বিনিময়ে কাউকে চাকরি বা অন্য কোনও সুযোগ দেবেন না। তা দিলে ভোটের সময় আর তাঁদের দেখা পাবে না।’’ এ ভাবে খোলাখুলি দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করাতেও আলোচনা শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন