আরবে মৃত্যু, দেহের অপেক্ষা

মৃতের নাম মাইনুল শাহ (৪৫)। বাড়ি থানারপাড়ায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি গত সাত বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে কাজ করছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

থানারপাড়া শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

মাইনুল শাহ। নিজস্ব চিত্র

বিদেশে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।

Advertisement

মৃতের নাম মাইনুল শাহ (৪৫)। বাড়ি থানারপাড়ায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি গত সাত বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে কাজ করছিলেন। গত রবিবার রাতে কাজের জায়গা থেকে সাইকেলে চেপে নিজের ঘরে ফেরার সময় রাস্তায় বড় গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার পরিচিত যে কয়েক জন সেখানে কাজ করেন, তাঁরা বাড়িতে ফোনে করে মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছেন। যে সংস্থার অধীনে তিনি কাজ করতেন, তারা দেহ ফেরানোর চেষ্টা করছে।

বুধবার থানারপাড়ায় মাইনুলের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও একটি বিবাহিত মেয়ে রয়েছে। তাঁর বাবা লাইব শাহ জানান, মাইনুলের সামান্য জমি রয়েছে। সে কারণে বছর সাতেক আগে তিনি সৌদি আরবে কাজে যান। সেখানে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। মাঝে বেশ কয়েক বার বাড়িতেও এসেছেন। গত বছর এক মাত্র বোন রিয়ার বিয়েতে এসেছিলেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ বারের মতো সৌদি আরবে যান। লাইব বলেন, ‘‘ছেলের মৃত্যুর দিন বিকেলেও আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বাড়ির খোঁজখবর নিচ্ছিল। রাতে মৃত্যুর খবর আসে। দীঘলকান্দি ও টোপলা গ্রামের পরিচিত দু’জন ওখানেই থাকে। দেহ নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” মাইনুলের ছেলে, বছর বাইশের রাজু শাহ জানান, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে বাবা তাঁর আর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেও তিনি ঘরে পেরেননি। তাঁর সহকর্মী, বাংলাদেশের বাসিন্দা তরুণ মোল্লা বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার মৃত্যুর খবর আসে। রাজু বলেন, ‘‘এক বছর আগে বোনের বিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময়ে বাবা বলে গিয়েছিলেন, পরের বকরি ইদে বাড়ি ফিরবেন। তার আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল।’’ রাজু বলেন, ‘‘যাবতীয় কাগজপত্র এ দিনই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কবে বাবার দেহ বাড়ি ফেরে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।” করিমপুর ২-এর বিডিও সত্যজিৎ কুমার জানান, মৃতের পরিবার থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ ও আবেদন জমা দিয়েছে। সে সব জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন