ঘটনাস্থল কল্যাণী পুরসভা চত্বর। আর, সেই চেনা চৌহদ্দিতেই পুরকর্মীদের হাতে রীতিমতো ঘাড় ধাক্কা খেলেন শাসক দলের এক কাউন্সিলর।
বুধবার দুপুরে, ওই ঘটনায় ঘটনা অভিযোগের আঙুল যে পুরকর্মীদের দিকে, দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, তারা সকলেই তৃণমূলের অন্য এক কাউন্সিলরের অনুগামী।
হেনস্থার পরে কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাও বলছেন, ‘‘রাখঢাকের কী আছে, দুই কাউন্সিলরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম, তারই শাস্তি পেলাম!’’ কল্যাণী থানায় ওই ছয় পুরকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন লক্ষ্মী। বিষয়টি জানানো হয়েছে পুরপ্রধান সুশীল তালুকদারকেও।
সুশালবাবু বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। এই ঘটনায় শহর তৃণমূলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তো বটেই।’’
কল্যাণী পুরসভার এক কাউন্সিলর তাঁর দত্তক কন্যার জন্মের সংশাপত্র জাল করেন বলে অভিযোগ। বোর্ড অব কাউন্সিলরের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন অন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে লক্ষ্মীও। এই ঘটনা নিয়ে পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে, অন্য কয়েকটি ব্যাপারেও নালিশ জানিয়েছিলেন তিনি। দলীয় ওই পুর কাউন্সিলরদের দুর্নীতির দিকেই তির ছিল তাঁর।
এ দিন সেই বিষয় নিয়ে সুশীলবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন লক্ষ্ণী এবং তৃণমূলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্পাদক রণজিৎ দাস। তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির ছয় কর্মী লক্ষ্মীকে ঘিরে ধরে। তার পর, এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে রণজিৎকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সুশীলবাবু ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ওই কর্মীদের থামান। সুশীলবাবু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। ওদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’