আইন বাঁচলেও বাঁচছে না মাথা

আইন তো বাঁচছে। কিন্তু, মাথা বাঁচছে কই? ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরে কেটে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচটা মাস। হিসেব বলছে, এই সময়ে পেট্রোলের বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৬
Share:

হেলমেট ছাড়াই। নিজস্ব চিত্র।

আইন তো বাঁচছে। কিন্তু, মাথা বাঁচছে কই?

Advertisement

‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরে কেটে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচটা মাস। হিসেব বলছে, এই সময়ে পেট্রোলের বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ মাসে নদিয়া-মুর্শিদাবাদে মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যুর হারও বেড়েছে। দেখা গিয়েছে, কোনও ক্ষেত্রেই বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না। যে তালিকায় নতুন সংযোজন কৃষ্ণনগর লাগোয়া বাদকুল্লায় তিন বাইক আরোহীর মৃত্যু। এ যেন সরকারের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগানকে বুড়ো আঙুল দেখানো। প্রশ্নটা উঠছে সেখানেই। তা হলে কি নজরদারির অভাব রয়েছে? পাম্পে এখনও কি সেই ধার কিংবা ভাড়ার হেলমেটে পেট্রোল মিলছে? ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১২ দিনে নদিয়ায় পথ দুর্ঘটনায় ১৬জনের প্রাণ গিয়েছে। আহতের সংখ্যা তার দ্বিগুণ। মৃত এবং আহতদের সিংহভাগই বাইক আরোহী। একই হাস মুর্শিদাবাদেরও। গত ছ’মাসে জেলায় বেশ ৫৫টি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।

Advertisement

আম জনতার অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই বাইক যেমন বেপরোয়াভাবে চলছে, তেমনই চোখের সামনেই হেলমেটহীন বাইক চলছে ইচ্ছেমতো। পুলিশ দেখেও দেখছে না।

নদিয়ার এসপি শীষরাম ঝাঝারিয়া অবশ্য বলছেন, “শীতে কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতার কম থাকে। এই সময়ে দুর্ঘটনা একটু বেশিই হয়।” মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর জানিয়েছেন, সচেতনা বাড়াতে প্রচার শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন