শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সোমবার বহরমপুরের একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিকের ধারা বজায় রইল উচ্চমাধ্যমিকেও।
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ, দুই জেলাতেই ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর নদিয়ায় ২৬,৭৪২ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল। এ বছরে সংখ্যাটা ২৭,৮৪৫। মুর্শিদাবাদে গত বছর ২৯,১০৮ ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিল। এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে ৩৩,০২৬ জন।
আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর জেলা প্রশাসন। পরীক্ষার আগে ও পরে যাতে প্রতিটা রুটে পর্যাপ্ত বাস থাকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বাস মালিকদের।
সেই সঙ্গে টোটো, অটো ও ছোট গাড়ির মালিকদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই পরীক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। নেওয়া যাবে না বেসি ভাড়াও। নদিয়ার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সৌমিত্র বিশ্বাস বলছেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে জানান, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষা দিতে পারে, সে ব্যাপারে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক তথা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক খোন্দেকার আশরাফুল শামিম জানান, আগের তুলনায় সচেতনতা বাড়ায় স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কমেছে স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যাও। তারই প্রভাব পড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে।
অন্য দিকে, ময়নাগুড়ির ঘটনার পরে পরীক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আটোসাঁটো করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে পরিচয়পত্র-সহ দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভেনু সুপারভাইজারকে সাহায্য করা এবং প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা নিয়ে সার্বিক নজরদারি করবেন তাঁরা। তাঁদের কাছে মোবাইল ফোন থাকবে না।
মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিক্যামেরা থাকছে। কোথাও কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।’’