মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শনিবার বিকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত নবদ্বীপের তিনটি মন্দিরে চুরি হয়ে গেল। কোথাও খোয়া গিয়েছে বিগ্রহের হাতের রূপোর বাঁশি তো কোথাও প্রনামী বাক্সের নগদ টাকা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেলের কিছু পরে। নবদ্বীপ চটির মাঠে গৌর গোপীনাথ মন্দিরে বৈকালিক ভোগ নিবেদনের সময় পুজারী লক্ষ্য করেন বিগ্রহের হাতের রূপোর বাঁশীটি নেই। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাঁশীটি ষোলো ভরি রূপো দিয়ে তৈরি করানো হয়েছিল। মন্দিরের প্রধান সেবাইত শচীনন্দন দাস বলেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। কয়েক বছর আগে একই ভাবে শ্রীকৃষ্ণের হাতের বাঁশি চুরি হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল থেকেই অপরিচিত মুখের এক যুবক ওই মন্দিরের দোতলা নাটমন্দিরে ঘোরাঘুরি করছিল। মন্দিরে সন্ধ্যার দিকে বহুলোকই আসেন, বসে থাকেন বা আরতি দেখেন বলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাননি। বিকালের ভোগ আনার জন্য পূজারী যখন নিচে আসেন তখন ওই যুবক মন্দিরে একাই ছিল। পরে ভোগ নিবেদন করে আরতি করার সময় তিনি লক্ষ্য করেন বিগ্রহের হাতের বাঁশি নেই।
দ্বিতীয় ঘটনাটি নবদ্বীপের গানতলা অঞ্চলের ‘একলা নিতাই’ মন্দিরের। সন্ধ্যার সময় মন্দিরে ভক্তরা এসে দেখেন প্রনামীর বাক্সটি নেই। পরে মন্দিরের ছাদে ভাঙ্গা অবস্থায় বাক্সটি উদ্ধার হয়।
রবিবার সাত-সকালে নবদ্বীপ তাঁতকাপড় হাট অঞ্চলের মোহান্ত বাড়ির বিগ্রহের সামনে থেকে একই ভাবে খোয়া যায় প্রনামী বাক্সটি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে মন্দিরের উল্টো দিকের একটি গলি থেকে ভাঙা অবস্থায় বাক্সটি পাওয়া যায়। দু’টি বাক্সেই নগদ কয়েক হাজার টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
গৌর গোপীনাথ মন্দিরের পক্ষ থেকে রবিবার বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।
নবদ্বীপের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে দেড় শতাধিক মঠমন্দির। এমন কোনও মন্দির খুঁজে পাওয়া ভার, যেখানে কখনও চুরি হয়নি।