Panchayat elections

নেতাদের গোষ্ঠীকোন্দলে বিরক্ত নিচুতলার কর্মীরা

বেলডাঙা ১ ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যাওয়া ক্ষোভ ভোটের বাক্সে রক্তক্ষরণ করাতে পারে। এর ফল তুলতে বিরোধী কংগ্রেস বলেও মনে করছে দলের কর্মী সমর্থকরা।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে বিভেদ। তাকে ঘিরে প্রকাশ্য বিক্ষোভ। কটাক্ষ পাল্টা কটাক্ষ, আক্রমণ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না দলের কর্মী সমর্থকরা। অভ্যন্তরীণ এই বিক্ষোভ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

বেলডাঙা ১ ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যাওয়া ক্ষোভ ভোটের বাক্সে রক্তক্ষরণ করাতে পারে। এর ফল তুলতে বিরোধী কংগ্রেস বলেও মনে করছে দলের কর্মী সমর্থকরা। বেলডাঙা ১ ব্লক (উত্তর) তৃণমূলের সভাপতি বনতোষ ঘোষকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধ। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করেছে দলীয় পতাকা নিয়ে। বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেখানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। বেলডাঙা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের নজরুল ইসলাম প্রকাশ্যে মাইক ধরে বনতোষ ঘোষের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন। বল্গাহীন বাক্যবাণ ধেয়ে এসেছে নেতৃত্বের মুখ থেকে। এগুলো সবই দেখেছেন তৃণমূল স্তর থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব।

পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তার আগে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল এই বিবাদের প্রভাব সরাসরি পরেছে দলের নিচু স্তরে। বেলডাঙা ১ ব্লকের চৈতন্যপুর ২ পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল কর্মী বলছেন, “বেলডাঙা ১ (উত্তর) ব্লকের সভাপতি ও বেলডাঙার বিধায়কের বিরোধ চরমে। তারাই তো এলাকার শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিরোধ ভোট বাক্সে সরাসরি পরবে। তৃণমূল যদি এর কোন মীমাংসা না করে তবে ফল ভুগতে হবেই। এর ফল ব্যালটে পাবে জাতীয় কংগ্রেস। এটা নেতৃত্ব যেন মনে রাখে।”

Advertisement

দলের একাংশ বলছে, এক হাজার ভোটার পিছু এক জন প্রার্থী। তাকে বাছতে দল যদি দলের সব ধরনের নেতা কর্মীদের মতামত নেয় তবে প্রার্থী সফল হবে।

বেলডাঙা ১ ব্লক (উত্তর) তৃণমূলের সভাপতি বনতোষ ঘোষ বলেন, “যাঁরা এ সব বলছেন তাঁরা তৃণমূল দলকে ভালবাসেন না। এ সব কথারও কোনও ভিত্তি নেই। কারণ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কে প্রার্থী হবেন। কে হবেন না। ফলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। কোন ঘটনা এতে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কংগ্রেসের পায়ের তলায় মাটি নেই।”

তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সমস্যা মিটে গিয়েছে। যদিও বেলডাঙার প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউজ্জামান বলেন, “তৃণমূলের উপর থেকে নীচ সর্বত্র বিভাজন। এর ফল ভোটে পড়বে। কংগ্রেস তা দু’হাত ভরে তুলবে।”

বেলডাঙার বিধায়ক তৃণমূলের হাসানুজ্জামান শেখ বলেন, “কে কী বললেন, তাতে ভোটে প্রভাব পড়বে না। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে। এটা বিধানসভার ভোট নয়। তৃণমূল স্তরের কর্মীরা দলকে জেতাবেন। কংগ্রেসকে কেউ বাছবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন