দলীয় কর্মী খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

রবিবার গভীর রাতে বাড়ির কাছেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। কমিটি’র লোকজন ওই রাতেই সেতাবুলের বাড়ি চড়াও হয়ে তাঁর চার ছেলে ও ভাইদের মারধর করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

লালগোলা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪১
Share:

লালগোলার বাখরপুর গ্রামের ‘শান্তি ও উন্নয়ন কমিটি’র সদস্য নাজিবুর রহমানকে (৪৮) খুনের অভিযোগে উঠল দলের ময়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি সেতাবুল হোসেনের চার ছেলে ও তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

Advertisement

রবিবার গভীর রাতে বাড়ির কাছেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। কমিটি’র লোকজন ওই রাতেই সেতাবুলের বাড়ি চড়াও হয়ে তাঁর চার ছেলে ও ভাইদের মারধর করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেতাবুল ও তাঁর ৪ ছেলে মিলে পাঁচ জনকে পুলিশ লালগোলার কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে সোমবার স্থানান্তরিত করা হয় তাদের।

জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘নাজিবুর খুনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

Advertisement

ধৃতদের মধ্যে রয়েছে সেতাবুলের ভাই ইউসুফ আলি ও মামাতো দুই ভাই সাহাজাদ শেখ ও ওদুদ শেখ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

তৃণমূলের লালগোলা ব্লক সভাপতি শুভরঞ্জন রায় বলেন, ‘‘সেতাবুল হোসেনের ছেলেদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষজন তাদের উপর ক্ষুব্ধ।’’ তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনকে পুরোপুরি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে চলতে বলা হয়েছে।’’

দিন কয়েক আগে বাখরপুর গ্রামে ‘শান্তি ও উন্নয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি নওয়াজ শরিফ শেখ ওই গ্রাম থেকে নির্বাচিত ত়ণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আঙ্গুরা বিবির স্বামী। শরিফ বলেন, ‘‘সেতাবুল ও তাঁর লোকজনের অত্যাচারে গ্রামের সবাই অতিষ্ঠ। সেই অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে মাস দেড়েক আগে শান্তি ও উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সেতাবুলদের ঠাঁই দেওয়া হয়নি।’’

রবিবার রাতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে কমিটির সদস্যদের উপর চড়াও হয় সেতাবুলের লোকজন। সেই সময়ে নাজিবুরকে পিটিয়ে মারা হয়।’’

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিছানায় শুয়ে সেতাবুল বলেন, ‘‘আমি ও আমার ছেলেরা বাড়িতেই শুয়ে ছিলাম। নাজিবুরের মৃত্যুর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন