Menoka Begum

মোদীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলের মেনকা

রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মেনকা বেগম বলেন, ‘‘ওই স্টেশনটি রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় পড়ে। উন্নয়নের কাজে প্রধান হিসেবে আমাকে রেল আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৫
Share:

অমৃত ভারত স্টেশন যোজনায় খাগড়াঘাট রোড স্টেশন পুননবীকরণ অনুষ্ঠানে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার ও এক নম্বর রাধার ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মেনকা বেগম।। ছবি গৌতম প্রামাণিক

সোমবার দিল্লি থেকে দেশ জুড়ে একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই কর্মসূচিতে বিজেপির জেলা সভাপতির পাশে বসে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রয়াত প্রাক্তন জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের পুত্রবধূ। সোমবার সকালে বহরমপুরের খাগড়া স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের কাজের শিলান্যাস করেন। সেই কর্মসূচিতে বহরমপুরের খাগড়াঘাট রোড স্টেশনে অন্যদের সঙ্গে উপস্থত হয়েছিলেন বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার, বহরমপুরের রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা মান্নান হোসেনের পুত্রবধূ মেনকা বেগম সহ অনেকে। মেনকা বেগম আবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য তথা মান্নান হোসেনের পুত্র রাজীব হোসেনের স্ত্রী। যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলে। যেখানে রাজ্য সরকারের কর্মসূচিতে বিরোধীদলগুলির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ডাক পান না বলে অভিযোগ ওঠে, তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচিতে তৃণমূলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দেখা যায় না। সেখানে প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের পুত্রবধূকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে দেখা যাওয়ায় হইচই চলছে তৃণমূলের অন্দরেও।

Advertisement

তবে রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মেনকা বেগম বলেন, ‘‘ওই স্টেশনটি রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় পড়ে। উন্নয়নের কাজে প্রধান হিসেবে আমাকে রেল আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। উন্নয়নের কাজ বলে সেখানে গিয়েছিলাম।’’ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য রাজীব হোসেন বলেন, ‘‘সব জায়গায় রাজনীতির রং দেখবেন না। খাগড়াঘাট রোড স্টেশন রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় পড়ে। সেখানে উন্নয়নমূলক কাজের কর্মসূচিতে প্রধানকে রেল আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।’’

বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘এটাই বিজেপির নেতৃত্বে চলা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি। রাজ্য সরকার যেখানে বিরোধীদলগুলির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানায় না, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতেও বিরোধীদলেরনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়। এখান থেকে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সব কিছুতে রাজনীতির রং দেখতে হয় না।’’

Advertisement

বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন