Siddiqullah Chowdhury

সিদ্দিকুল্লার সভায় ক্ষোভ নেতাদের

বিডিও থেকে শুরু করে ওসি, আইসি, জেলা পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের কর্তারা বিরোধীদলের নেতাদের কথা শুনছেন বলে তাঁরা নালিশ ঠুকেছেন শাসক দলের নেতারা।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩৪
Share:

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

বহরমপুরে কান্দি বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুরসভার অনুষ্ঠান বাড়িতে শাসকদলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল বুধবার। সেখানে দলের জেলার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও মোসারফ হোসেন রয়েছেন। তাঁদের সামনেই দলের একাধিক বিধায়ক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

Advertisement

বিডিও থেকে শুরু করে ওসি, আইসি, জেলা পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের কর্তারা বিরোধীদলের নেতাদের কথা শুনছেন বলে তাঁরা নালিশ ঠুকেছেন শাসক দলের নেতারা। শুধু তাই নয়, সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পরে তাঁর এলাকার ‘বিডিও আনন্দে হোলি খেলেছেন’ বলে এক বিধায়ক এদিন সিদ্দিকুল্লার সামনে অভিযোগ তুলেছেন। আবার জেলার এক পুরপ্রধান সেই বৈঠকে বলেছেন, জেলার পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের কর্তারা আমাদের নেতৃত্বর কথার গুরুত্ব দেন না, যতটা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথাকে গুরুত্ব দেন। জেলা পরিষদের এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বলেছেন, তাঁর এলাকার বিডিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদে বাকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অফিস ঘর দীর্ঘ দিন তালাবন্ধ করে রেখেছেন। দলের জেলা কমিটির বৈঠকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তার পরে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। এক বিধায়ক বলেছেন, তাঁর এলাকার দলের শহর সভাপতির কাছেও নাকি সেখানকার বিডিও ঘুষ চান।

জেলা পরিষদের এক কর্তা ওই বৈঠকে আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এত উন্নয়ন মূলক কাজ করছি। অথচ তার প্রচার হয় না।এদিনের বৈঠক থেকে যে সব পরামর্শ উঠে এল তা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা করার। সেই কাজ গতকাল আমরা মালদহে শুরু করেছি। আজকে মুর্শিদাবাদে বসলাম।’’ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আলোচনা হয়েছে।’’ তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে দলের নেতাদের ক্ষোভের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন