তৃণমূল কর্মী খুনের সূত্র মোবাইলেই

শক্তিপুরের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ  এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পরে রবিবার সকালে  তৃণমূল কর্মী  ফিরদৌস আলির বস্তিবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার  হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শক্তিপুর শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:০৩
Share:

শক্তিপুরের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পরে রবিবার সকালে তৃণমূল কর্মী ফিরদৌস আলির বস্তিবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

সোমবার ফিরদৌসের পরিবার শক্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু তার পরেও ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শাসক দল। তেমনি খুন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বেলডাঙা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিরদৌসের মোবাইল ফোন এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইলে শনিবার রাতে কারা ফোন করেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেখান থেকেই মিলতে পারে খুনের সূত্র। এখন মোবাইলের সূত্র ধরেই খুনের খুনের করতে চাইছে পুলিশ।

Advertisement

এ দিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের দুটো গোষ্ঠীর কাজিয়ায় মিঞাগ্রামে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার কংগ্রেসের বেলডাঙা ২ ব্লক(পশ্চিম) সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামানিকের অভিযোগ, গত এক বছরে একাধিক বার উত্তপ্ত হয়েছে মিঞাগ্রাম। তার অধিকাংশ হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে।

তিনি জানান, এক সময়ে যাঁরা কংগ্রেস কর্মী ছিলেন, এখন তাঁরা সকলেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শাসক দলের দুটি গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতী, যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাদের অনেকেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নতুন করে খুন-খারাপি শুরু করেছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই এই খুন।

পাল্টা বেলডাঙা ২ ব্লক তৃণমূলের কাযর্করী সভাপতি গোলক বন্দ্যোপাধায় বলছেন, ‘‘দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কংগ্রেস রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলছে। কিন্তু ওই অভিযোগের কোনও বাস্তবতা নেই।’’

গোলক জানান, ফিরদৌস আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ওই খুনের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে ঘটনার দু’দিন পরেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, এটা দুর্ভাগ্যজনক।

পুলিশ ওই খুনের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করলেই কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ হবে বলেও তৃণমূলের নেতৃত্ব জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘পুলিশ খুনের কিনারা করতে না পারার কারণেই কংগ্রেস এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলতে পারছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন