ভিড়নামচা/২

কথা রাখেনি কেউ, গতি কমছে শহরের

কথা ছিল, মসৃণ হবে নবদ্বীপের পথঘাট। কথা ছিল, কোথাও কোনও যানজট থাকবে না। কথা ছিল, ফের গতি ফিরবে এ শহরে। কিন্তু কোথায় কী! কথায় কথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই কথা রাখার দায়টুকুও।

Advertisement

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১২
Share:

শুক্রবার নবদ্বীপে। ছবি: নিজস্ব চিত্র

কথা ছিল, মসৃণ হবে নবদ্বীপের পথঘাট। কথা ছিল, কোথাও কোনও যানজট থাকবে না। কথা ছিল, ফের গতি ফিরবে এ শহরে।

Advertisement

কিন্তু কোথায় কী! কথায় কথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই কথা রাখার দায়টুকুও। যার নিট ফল, বছরের পর বছর ধরে আরও মন্থর হয়ে পড়ছে চৈতন্যধাম নবদ্বীপ।

মাস কয়েক আগে শহরে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি। শহরের এমন হাঁসফাঁস অবস্থা দেখে তিনি জানিয়েছিলেন, এ শহরের যানজট, ভিড় কমাতে ঢেলে সাজানো হবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা। রাস্তায় বসানো হবে সিসিটিভি। বলাই বাহুল্য, সে সব কিছুই হয়নি।

Advertisement

নবদ্বীপে ট্রাফিক নিয়ম বলে কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। শহরের গলি থেকে রাজপথ দিনভর দাপিয়ে বেড়ায় টোটো, মোটরভ্যান, রিকশা। সঙ্গে স্কুলবাস, ছোট গাড়ি এবং পণ্যবাহী ট্রাকের ইচ্ছেমতো যাতায়াত।

এ শহরে পর্যটক বাড়ছে, পর্যটকের উপর ভর করে আরও শ্রী বাড়ছে স্থানীয় বাণিজ্যে। কিন্তু শহরের পথঘাট যা ছিল তা-ই আছে। এ দিকে হু হু করে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। নিয়ন্ত্রণহীন সেই গাড়ির চাপে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজটে হাঁসফাঁস করছে শহর। শহরের লোকজন তো বটেই, পর্যটকেরা পর্যন্ত নবদ্বীপের ভিড় ও যানজটকে ভয় পেতে শুরু করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত বলছেন, ‘‘এটা মোটেই কোনও পর্যটন শহরের বিজ্ঞাপন হতে পারে না।’’ সামনে ২৩ জানুয়ারি। তার আগের দু’দিন শনি ও রবিবার। তারপরে রয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবস। সেই সময়ের ভিড়ের কথা ভেবে এখন থেকেই শিউরে উঠছে নবদ্বীপ।

স্থানীয় পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘‘সিসিটিভির ব্যবস্থা করে দ্রুত শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক করা হবে।’’ সেটাও কথার কথা নয় তো? অপেক্ষায় রইল নবদ্বীপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement