জখম রাহুল। নিজস্ব চিত্র
বিজেপিকে সমর্থন করেন এই ‘অপরাধ’-এ এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল। কোতয়ালি থানার ভাতজাংলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাই-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে কোতয়ালির ভাতজাংলার কালীপুর এলাকায়। কালীপুরের বাসিন্দা রাহুল মাঝির অভিযোগ, এ দিন রাতে স্থানীয় একটি মাঠে কয়েক জন বসেছিলেন। সেই সময়েই সেখানে ভাতজাংলা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি খোকন মণ্ডলের ভাই দিলীপ জনা কয়েক সঙ্গী নিয়ে সেখানে হাজির হয়। রাহুলের ভাই রাকেশ বলেন, “ওরা এসেই আমার ভাইকে জিজ্ঞাসা করে, ‘কিরে তোরা বিজেপি করছিস? বিজেপি কেন করিস? বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস কেন?’ এর উত্তরে চুপ করে ছিল ভাই। কোনও উত্তর না পেয়ে ওরা তাকে রড দিয়ে মারধর করে।” মারধরে জখম হন রাহুল। পরে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
দিনমজুরের কাজ করেন রাহুল। তাঁর কথায়, “আমরা দিনমজুরি করে খাই। কোনও রাজনীতি করি না। ওর কথাতেও চুপ করে ছিলাম।” পরে কোতয়ালি থানায় এই ঘটনায় দিলীপ-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান রাহুল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দিলীপ এবং তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।
ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ভাতজাংলা অঞ্চল সভাপতি খোকন মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওখানে কিছু লোক নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে। এখন আমার ভাইয়ের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিজেপিই ওদের উস্কে দিয়ে এখন আমাদের ফাঁসাচ্ছে। আমাদের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নয়।” বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “ওখানে অনেক আগে থেকেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ায় এখন এ সব করছে। আমরা কখনও কাউকে উস্কানি দিইনি। মানুষ সব দেখছে।”