কংগ্রেস নেতারা যতই সভা করে নিজেদের সংহতি তুলে ধরার চেষ্টা করুন, ভিতরে-ভিতরে যে রক্তক্ষরণ চলছেই তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ পুরসভার দুই কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁদের এক জন, ললিতা দাস কংগ্রেসের। বিজেপির বাবলু বিশ্বাসও তাঁর সঙ্গে বহরমপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে দল বদল করেছেন। তাঁরা দু’জন যোগ দেওয়ায় ১৬ আসনের ওই পুরসভায় এখন তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪। সোমবারই রঘুনাথগঞ্জে সভা করে জেলা কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছিলেন, তাঁরা একজোট আছেন। আর কোনও বিধায়ক দল বদলাবেন না। বিধায়কেরা কেউ না গেলেও এক দিনের মধ্যে এক কাউন্সিলর ফের পা বাড়ালেন। ইতিমধ্যে ওই পুরসভায় কংগ্রেসের ৯ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন ও বাম সমর্থিত এক নির্দল কাউন্সিলর মিলিয়ে ১১ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের এক জন কাউন্সিলর তো ছিলেনই। ফের এ দিন দু’জন দলবদল করায় বর্তমানে ওই পুরসভায় কংগ্রেস ও বিজেপির এক জন করে কাউন্সিলর রয়ে গেলেন। রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেনের দাবি, ‘‘ওই দুই কাউন্সিলর ছাড়াও মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন দাস, ব্লক কংগ্রেসের অন্যতম নেতা সুজিত দাস, ডাহাপাড়া অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সরকার ও লালবাগ ব্লক কংগ্রেসের সভানেত্রী সীমা বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের পুর-কর্মচারী সংগঠনেরও ৭০ জনের বেশি সদস্য দলে চলে এসেছেন।’’