Jangipur

মহা সমারোহে ৫০ বছর পালন গ্রামীণ স্কুলের

পঞ্চগ্রাম আইএসএ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে পঠনপাঠনের মানও অনেক ভাল হয়েছে। আগে ৪০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করত মাধ্যমিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৫
Share:

সেই স্কুল। নিজস্ব চিত্র

পাঁচটি গ্রামের ৩৫ জন ছাত্রকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল জুনিয়র হাই মাদ্রাসা। পরবর্তী কালে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পরিণত হয়েছিল। ৩৫ থেকে বেড়ে পড়ুয়ার সংখ্যা এখন ৪,৪৩৭ জন। চলতি বছর সেই স্কুলই পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করল।

Advertisement

পঞ্চগ্রাম আইএসএ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে পঠনপাঠনের মানও অনেক ভাল হয়েছে। আগে ৪০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করত মাধ্যমিকে। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ শতাংশে। উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৪ শতাংশ। প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের ছেলেমেয়েরা ভর্তি হয় এই স্কুলে, যাদের অধিকাংশ বিড়ি শ্রমিক পরিবারের। সেই স্কুলেই মহা সমারোহে রবি ও সোমবার পালিত হল সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। দু’দিন ধরে বিশিষ্টজনদের সমাগমেচলল উৎসব।

জেলার সাহিত্যিক নলিনী বেরা, অভিনেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ মুনকির হোসেন, তথ্যচিত্র নির্মাতা মুজিবর রহমান, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর শীল-সহ বিশিষ্টরা ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। স্কুলের প্রাক্তনী শিক্ষা সংসদের সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, “এলাকার ৫টি প্রত্যন্ত গ্রাম হরিপুর, ডিহিগ্রাম, তেনাউড়ি, জগতাই ও শেরপুর নিয়ে মাদ্রাসা গড়ে তুলেছিলেন এলাকারই তিন বিদ্যোৎসাহী মানুষ ইসমাইল, চাঁদ মহম্মদ ও আমাজুদ্দিন। তাঁরাই জমি দান করেন। ১৯৭৩ সালের সেই সময় এলাকার পাঁচটি গ্রামে সেভাবে পৌঁছয়নি শিক্ষার আলো।’’

Advertisement

তিনি জানান, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণি নিয়ে শুরু হয়েছিল জুনিয়র মাদ্রাসা। পরের বছর সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি। ১০ বছর এ ভাবে চলার পর সাধারণ স্কুল হিসেবে সরকারি স্বীকৃতির আশ্বাস মেলে। তখন যাত্রা শুরু হল পঞ্চগ্রাম আইএসএ জুনিয়র হাই স্কুলের। দিনটা ছিল ১৯৮৪ সালের ২ জানুয়ারি। ২০০০ সালে মেলে মাধ্যমিকের অনুমোদন। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক। তারপর থেকে যত দিন গিয়েছে, বহরে বেড়েছে স্কুল। মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল ৩৯ শতক দানের জমিতে। এখন বাকি জমি কিনে স্কুল গড়ে উঠেছে ৭৩ শতক জমির উপর।

প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মেহেবুব ইশা বলেন , “ স্কুলটির অবস্থানও বড় বিচিত্র। যে পঞ্চগ্রাম নিয়ে শুরু এই স্কুলের, তার চারটি গ্রাম সুতি ২ ব্লকে পড়ে। শেরপুর আবার শমসেরগঞ্জ ব্লকের মধ্যে। ফলে এর প্রশাসনিক অবস্থান শমসেরগঞ্জের মধ্যে। প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান সুতি ২ ব্লকে। ফলে গত ৫০ বছরের মধ্যে কোনও নির্বাচিত বিধায়ক ও সাংসদের সহায়তা জোটেনি স্কুলের। স্কুলের যা উন্নতি তা সবই স্থানীয় গ্রামবাসী ও শিক্ষা দফতরের সাহায্যে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন